রাজধানীর ভাটারায় ১৪ বছর বয়সী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী মাহফুজা রহমানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মাসুদ-উর রহমান তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই বিল্লাল হোসেন আসামি মাহফুজা রহমানকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেন ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফাত আরা সুলতানা।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ভাটারা থানার নারী ও শিশু আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই রাফাত আরা সুলতানা নিউজবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৪ জুলাই মাহফুজা রহমানকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
এরপর ৫ জুলাই তার স্বামী বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আরিফকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১ জুলাই গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বড় বোন ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় আসাদুর রহমান আরিফ এবং তার স্ত্রী মাহফুজা রহমানকে আসামি করা হয়।
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর ভাটারায় আসাদুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে ভিকটিম। কাজে সামান্য ভুল হলেই তাকে লাঠি দিয়ে মারধর, প্লাস দিয়ে মাথার চুল টানা, গায়ে গরম পানি ঢেলে দেয়া, গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতন করতেন মাহফুজা।
সর্বশেষ ১৫ জুন ঘর পরিষ্কার করতে দেরি হওয়ায় ভিকটিমকে বেধড়ক মারধর করেন আরিফ ও মাহফুজা। এমনকি গরম পানি দিয়ে তার শরীর ঝলসে দেয়া হয় এবং চুলায় রড গরম করে তার পায়ে চেপে ধরা হয়। এ ছাড়া ভিকটিমের মুখ, হাত, পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে। পরে অসুস্থতার কথা বলে ৩০ জুন ভিকটিমকে তার বড় বোনের বাসায় রেখে যান আরিফ।