বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছেলেকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে ছুরিকাহত বাবার মৃত্যু

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২১ ২০:১৭

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ছেলেকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে আলমগীরকে আটকায় আসামিরা। এসময় তারা তাকে কিলঘুষি মারে এবং টেনেহিঁচড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় আলমগীরকে ছুরিকাঘাত করেন আসামি আলমগীর।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলেকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে আহত হন অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন ওরফে আলী। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।

মঙ্গলবার এ ঘটনায় আটজনকে আসামি করে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেছেন তার স্ত্রী মোছা. শাহনাজ বেগম। মামলায় ইতোমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রধান আসামি আলমগীরের সঙ্গে টাকাপয়সার লেনদেন বিষয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল ভিকটিম আলমগীর হোসেনের।

৩০ জুন সকাল ১০টার দিকে বড় ছেলে শাহিন আলমকে খাবার দিতে মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিংয়ের রশিদিয়া মাদ্রাসায় যান আলমগীর হোসেন। খাবার দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এসময় আদাবর থানার ঢাকা উদ্যান বেড়িবাঁধের পাশের উড়াল পাখি ট্যাম্পু স্ট্যান্ডে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আলমগীরসহ অন্য আসামিরা তাকে আটকায়

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা তাকে কিলঘুষি মারে এবং টেনেহিঁচড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অটোরিকশা থেকে নামাতে ব্যর্থ হওয়ায় আলমগীরকে ছুরিকাঘাত করেন আসামি আলমগীর।

প্রাণে বাঁচতে চিৎকার করেন আলমগীর হোসেন। তখন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মারা যান তিনি।

বুধবার মামলায় গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব কুমার বর্মন। এদের মধ্যে মো. সাগর, মো. রনি ও মো. রাজন জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাদের মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে উপস্থিত করা হয়। পরে সাগর জবানবন্দি দিলেও বাকি দুই জন জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান।

বাকি আসামিদের মধ্যে লিটন, মুন্না ও আব্দুল্লাহকে সাত দিনে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল সাগরের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রনি ও রাজনকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে লিটনকে পুলিশি হেফাজতে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ এবং কিশোর হওয়ায় মুন্না ও আব্দুল্লাহকে

শিশু আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির আদেশ দেন বিচারক। তিনি এই কিশোরদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।

তাদের রিমান্ড বিষয়ে শুনানি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে (শিশু আদালতে) অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিভাগের আরো খবর