ডাবের পানি খেতে চেয়েছিলেন অসুস্থ মা। সেই ডাবের পানি আনতে যাচ্ছিলেন ছোট ছেলে শামস শের ইসলাম পিয়াস। এ নিয়ে সৎ বড় ভাই শামস তাবরেজ বিপ্লবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। এক পর্যায়ে ছোট ভাইয়ের হাতের কাছে থাকা কাঁচির আঘাতে খুন হন বড় ভাই।
এ ঘটনায় ছোট ভাইকে একমাত্র আসামি করে মঙ্গলবার ওয়ারী থানায় মামলা করেন সৎ বোন সানিয়া ইসলাম সিগ্ধা। মামলায় পিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে আসামি পিয়াসকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির হোসেন।
এদিন ঘটনাটি নিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের কাছে জবানবন্দি দেন পিয়াস। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাকে নিয়ে ওয়ারীর যোগীনগর লেনের বাসায় থাকতেন দুই ভাই। ২ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মা আনোয়ারা ইসলাম এবং দুই ছেলে শামস তাবরেজ বিপ্লব ও শামস শের ইসলাম পিয়াসকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে বসে ছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় পিয়াসের কাছে ডাবের পানি চান আনোয়ারা ইসলাম। পিয়াস পানি দিতে গেলে বড় ভাই বিপ্লবের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পিয়াসকে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পড় মারেন বিপ্লব।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, পরে ড্রইংরুম থেকে কাঁচি এনে বিপ্লবের মাথায় ও কানের গোড়ায় আঘাত করেন পিয়াস। এতে মেঝেতে পড়ে যান বিপ্লব। তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসার জন্য তাকে রামপুরা বেটার লাইভ হাসপাতালে ভর্তি করান মা আনোয়ারা ইসলাম। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিপ্লবকে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান বিপ্লব।