সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০ জুন দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রচণ্ড জ্বর, আমি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছি।’ এর দুই সপ্তাহ পর লড়াইয়ে হেরে গেলেন সাঈদা নাসরিন বাবলী।
বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের এ সহকারী অধ্যাপকের।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ডেঙ্গু ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন নাসরিন বাবলী। ১৬ দিন আইসিইউতে ছিলেন। বুধবার ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে দুই দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বাবলী। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন স্কয়ার হাসপাতালে। পরে করোনামুক্ত হলেও আক্রান্ত হন ডেঙ্গু জ্বরে। এর সঙ্গে যোগ হয় কিডনির সমস্যা ও ব্রেন স্ট্রোক। এসব কারণে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা বিফল হয়।
বাবলীর স্বামী ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সুপ্রিম কোর্টে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আইনজীবী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য।
বাশার-বাবলী দম্পতির একমাত্র ছেলের বয়স সাড়ে চার বছর।
সাঈদা নাসরিন বাবলীর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বাবলী ৩২তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেও তিনি ছিলেন জনপ্রিয়।
তার মরদেহ উল্লাপাড়ার ঝিকিড়া কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে স্বজনরা জানান।
বাবলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন অনেকেই।
তার মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোক প্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম। এছাড়াও শোক জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনও।