রাজধানীর হাতিরঝিলে বেড়াতে আসা প্রেমিক যুগলকে ব্ল্যাকমেইলকারী টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আতিকুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে হাতিরঝিল থানার পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। অবৈধ অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় অনিক হাসানের সাত দিন করে ১৪ দিন এবং অপর চার আসামির ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র মামলায় অনিক হাসানের তিন দিন এবং ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
অপর চার আসামির বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় এক দিন করে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেয় আদালত।
তারা হলেন শহিদুল ইসলাম অ্যাম্পুল, আবির আহমেদ রাকিব, সোহাগ হোসেন আরিফ ও মোহাম্মদ হিরো।
গত ৫ জুলাই হাতিরঝিল এলাকা থেকে এই পাঁচজনকে আটক করে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি ধারোলো অস্ত্র এবং ৩০০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ব্ল্যাকমেইলের শিকার এক যুগলের অভিযোগ পেয়ে র্যাবের গোয়েন্দা দল মাঠে নামে।
র্যাব জানতে পারে, অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক কিশোর বয়স থেকেই অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। রাজধানীর মগবাজার, হাতিরঝিল এলাকায় তিনি ত্রাস ছড়াচ্ছিলেন।
মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার, ছিনতাই সবকিছুই ছিল তার নিয়ন্ত্রণে।
তিনি ২০-২৫ সদস্য নিয়ে তার অপরাধজগতে কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
তার বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত টিকটক হৃদয়ের সঙ্গেও তাদের সম্পৃক্ততা ছিল।