ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় মশার বিস্তারে চিন্তিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিশেষ করে বাসাবাড়ির টব ও ছাদে বৃষ্টির পানি জমে যেন এডিস মশার বিস্তার না ঘটে সেদিকে নজরদারি বাড়াতে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নগর ভবনে মঙ্গলবার সকালে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠপর্যায়ের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক দিকনির্দেশনামূলক সভায় অংশ নেন মেয়র তাপস। দক্ষিণ সিটির সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে সভা অনুষ্ঠিত হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।
মশার বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে মেয়র নিজ নিজ এলাকার বাড়ির মালিকদের সম্পৃক্ত করতে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, এ পরিস্থিতিতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তদারকি বাড়াতে হবে বলে তিনি অভিমত দেন।
মেয়র তাপস কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টভিত্তিক ভবনের মালিক সমিতির সাথে কথা বলবেন। তাদের অনুরোধ করবেন যেন বাড়ির আঙিনায়, ছাদসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীদের ঢুকতে দেয়া হয়। আমরা দেখছি, বাসাবাড়ির আনাচকানাচে, বিভিন্ন সামগ্রী, চাকা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতলসহ বিভিন্ন পাত্রে বৃষ্টির স্বচ্ছ পানি জমে থাকছে। এসব স্থানে পানি জমে থাকার কারণে মশার বিস্তার ঘটছে।
‘দুটি বাড়ির মাঝখানে অনেক সময় পানি জমে থাকে, সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। এসব স্থানে লার্ভিসাইডিং করতে হবে, কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে। কারণ বৃষ্টির জমা পানিতে দুই-তিন দিনের মধ্যেই এডিস মশার বিস্তৃতি ঘটে, প্রজনন ঘটে। ছাদের কার্নিশে ও ছাদের অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে, সেগুলো দেখতে হবে।’
নারী কাউন্সিলরদের মেয়র বলেন, ‘বিভিন্ন বাসাবাড়িতে আপনাদের অনায়াসে ঢোকার সুযোগ আছে। যেসব বাড়িতে ফুলের টব, ছাদবাগান আছে, আপনারা সেখানে মশকনিধন কর্মীদের প্রবেশের সুযোগ করে দেবেন। বাসাবাড়ির আঙিনা, ছাদে গিয়ে মশকনিধন কার্যক্রম চালাতে হবে।’
প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা চাহিদা দেবেন, যেখানে যা লাগবে আমাদের জানাবেন। মশকনিধন কার্যক্রমকে সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করবেন।’
বিশেষ এ সভা চলাকালে নগর ভবন প্রান্তে মেয়রের পাশে ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ কর্মকর্তারা।