বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাহবাগে সাবধান

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২১ ১৫:১০

শাহবাগ মোড়ের ওভারব্রিজের নিচে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট। বাটা সিগন্যাল, কাঁটাবন হয়ে যেসব গাড়ি আসছে, সেগুলো থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে চারটি পয়েন্টে চার চেকপোস্ট বসিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ চার বাহিনীর চার চেকপোস্টের কারণে কোনোভাবেই শাটডাউনে অযথা বের হওয়া ব্যক্তিরা ছাড় পাচ্ছেন না। ফলে জরিমানা গুনতে হচ্ছে কারণহীন বের হওয়া ব্যক্তিদের।

অবশ্য চার চেকপোস্টের কারণে ধীরগতিতে গাড়ি চলায় কিছুটা যানজটও দেখা গেছে ওই এলাকায়। দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে জরুরি কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষদের।

শাহবাগ মোড়ের ওভার ব্রিজের নিচে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট। বাটা সিগন্যাল, কাঁটাবন হয়ে যেসব গাড়ি আসছে, সেগুলো থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এই চেকপোস্ট পেরিয়ে যেসব গাড়ি ঢাকা ক্লাবের দিকে যাচ্ছে, সেগুলো আবার আটকাচ্ছে র‍্যাবের বসানো চেকপোস্ট।

আবার মৎস্য ভবন থেকে যারা শাহবাগ যাচ্ছেন, তাদের বের হওয়ার কারণ জানতে শাহবাগ থানার একটি পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে ফুল মার্কেটের সামনে।

জাতীয় জাদুঘরের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি ও বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।

শাহবাগ মোড়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই এমন কড়াকড়ি অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।

শাহবাগে সেনাবাহিনীর দলটির নেতৃত্বে আছেন মেজর হাসান চৌধুরী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করছি। যারা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারছেন না, তাদের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এ ছাড়া যারা মাস্ক ছাড়া বা থুতনিতে মাস্ক নামিয়ে চলছেন, তাদের সতর্ক ও সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান মেজর হাসান।

জাতীয় জাদুঘরের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে বিজিবি। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

এদিকে ঢাকা ক্লাব হয়ে মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়ার পথে বারডেমের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে র‍্যাব। তারাও তল্লাশি করছে। ঠুনকো কারণে যারা বের হয়েছেন, তাদের জরিমানা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

এক থেকে দেড় শ গজ আগে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট থাকার পরও একই পথের যাত্রীদের থামিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘সামনে সেনাবাহিনী চেক করছে। কিন্তু আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। প্রতিটি সড়কেই বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট রয়েছে। আমরা চেক করার পাশাপাশি জরিমানা করছি, মাস্ক বিতরণ করছি।’

যদিও র‍্যাবের মতো সেনাবাহানীকেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কয়েকজনকে জরিমানা করতে দেখা গেছে।

সেনাবাহিনীর দলটি বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে সেখান থেকে অন্য স্থানে সরে যায়। এর পরপরই আসে বিজিবির একটি টহল দল। তারা এসে দাঁড়ায় শাহবাগ মোড় ক্রস করে কাঁটাবন যাওয়ার পথে জাতীয় জাদুঘরের পাশে। তাদেরও ব্যক্তিগত গাড়ি ও পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।

শাহবাগ মোড়ে বারডেমের সামনে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ চেকপোস্ট। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

বিজিবি যেখানে চেকপোস্ট বসিয়েছে, তার কিছুটা আগেই শাহবাগ ফুলের মার্কেটের সামনে একটি চেকপোস্ট রয়েছে শাহবাগ থানার পুলিশের। তারাও মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগের দিকে আসা গাড়িগুলো থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

একটি বাহিনীর সদস্যরা এক শ গজের ভেতরে চেক করে ছাড়ার পর আরেকটি বাহিনীর চেকপোস্টে যানবাহন আটকে কী ধরনের কাজ হচ্ছে? বিজিবির দলটির দায়িত্বে থাকা নায়েক পদের এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করার পর কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

এর কিছু পরই বাহিনীটি সেখান থেকে চেকপোস্ট পরিচালনা বন্ধ রেখে গাড়িতে করে অন্য স্থানে চলে যায়।

খায়রুল হুদা থাকেন কাকরাইল কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিতে। করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের মধ্যেই সকালে গিয়েছিলেন ধানমন্ডি ন্যাশনাল ব্যাংকে। কিন্তু ফেরার পথে শাহবাগে তাকে আটকে দেয় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। যথোপযুক্ত কারণ মনে না করায় তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শাহবাগ মোড়ে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট, কাঁটাবন, বাটা সিগন্যাল থেকে আসা সব গাড়ি আটকাচ্ছে বাহিনীটি। ছবি: সাইফুল ইসলাম

খায়রুল হুদার দাবি, ‘করোনায় তো ব্যাংক খোলা। জরুরি লেনদেনের জন্যই গিয়েছিলাম ব্যাংকে। এরপরও জরিমানা গুনতে হলো।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘জরুরি লেনদেনের জন্য তিনি অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে তিনি যেটা করেছেন এক চেকের টাকা উত্তোলনের কথা বলে তিনজনকে নিয়ে বের হয়েছিলেন, যা এই মুহূর্তে গ্রহণযোগ্য নয়।’

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে গত ১ জুলাই থেকে সাত দিনের শাটডাউন দেয় সরকার। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। এরপর সোমবার আবারও এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর