করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান শাটডাউনের ষষ্ঠ দিন মঙ্গলবার রাজধানীর সড়কে গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে। এসব গাড়ি বৈধভাবে চলছে কি না, তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। চেকপোস্টে প্রতিটি গাড়ি চেক করছেন তারা।
দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ব্যাংক, বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। তবে শাটডাউনে যাদের চলাচলের অনুমতি আছে, তারাই রাস্তাই বের হচ্ছেন।
পুলিশের ভাষ্য, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া মানুষদের আটকে দেয়া হচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তারসহ নেয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামপুরায় বিটিভি চেকপোস্টে আট থেকে ১০ জনকে ফুটপাতে বসে থাকতে দেখা গেছে।
বসে থাকা ব্যক্তিরা জানান, তারা কাজে বের হয়েছিলেন। পুলিশ আটকে বসে থাকার শাস্তি দিয়েছে।
এই চেকপোস্টে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পরিদর্শক মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রত্যকটি গাড়ি চেক করে ছাড়ছি। শাটডাউনে চলাচলের অনুমতি আছে এমন মানুষ ও তাদের গাড়ির সংখ্যাই বেশি।
‘তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাদের সড়কে চলাচল করতে পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
গাড়ির চাপে দায়িত্ব পালনে হিমশিম
বিটিভি চেকপোস্টে ২০ পুলিশ সদস্যের একটি দল দায়িত্ব পালন করছেন। গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়ায় দায়িত্ব সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
প্রতিটি গাড়ি চেক করার কারণে রামপুরা ব্রিজ পার হয়ে মালিবাগগামী সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও রিকশার দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। চেকপোস্ট পার হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় পর্যন্ত লাগছে।
সকাল থেকে অন্তত ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ পর্যন্ত সড়কটি শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি। আজকে গাড়ির সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় বেশি।
‘তবে যেসব পেশার মানুষের চলাচলের অনুমতি আছে, তারাই বের হচ্ছেন। আমরা যেসব গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, তারা সবাই অফিসমুখী। যথাযথ আইডি দেখে তারপর ছাড়া হচ্ছে।’
সার্জেন্ট এম এ আজিজও একই কথা বলেন। তিনি জানান, গাড়ির বাড়তি চাপ রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশেরই চলাচলের অনুমতি রয়েছে।
রাজধানীর অন্যতম প্রবেশমুখ গাবতলীতে সকাল থেকেই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ছিল বলে জানান দারুস সালাম জোনের (ট্রাফিক) সহকারী কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে ঢাকায় ইনকামিংয়ে চাপ বেশি ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আউটগোয়িং বাড়ছে।
‘প্রতিটি গাড়ি চেক করায় কিছু জট তৈরি হচ্ছে। তবে জরুরি সেবার গাড়িগুলো স্মুদলি পার করে দিচ্ছি।’
চলাচলের অনুমতি নেই এমন একটি গাড়িও ঢাকার বাইরে যেতে বা ঢাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের এ কর্মকর্তা।