বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:৫০

‘কাজ শেষে শাহবাগ থেকে ফেরার সময় দেখি ক্যাম্পাসে কয়েকজন মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাদের সতর্ক করা হলেও তারা মানেননি। তাই তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে। তবে একজন পালিয়ে যান৷’

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সামনে সোমবার রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা নাজনীন এ অভিযান চালান। তার সঙ্গে ডিএসসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ সোমবার রাতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা ক্যাম্পাসে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সামনে যান। ওই সময় কয়েকজনের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নিয়ে ওই সময় জরিমানা করা ব্যক্তিদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডা হয় বলেও জানান তারা।

ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাজ শেষে শাহবাগ থেকে ফেরার সময় দেখি ক্যাম্পাসে কয়েকজন মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাদের সতর্ক করা হলেও তারা মানেননি। তাই তিনজনকে যথাক্রমে ৫০০, ২০০ ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে একজন পালিয়ে যান৷’

প্রশাসনের অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। মোবাইল কোর্ট আইন পুরো বাংলাদেশের জন্য; কোনো প্রতিষ্ঠান এর আওতামুক্ত নয়। তবে আমি দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কিংবা একাডেমিক ভবনে অভিযান চালালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।

‘আমি যেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি সেটি রাস্তার মধ্যে এবং এই রাস্তাগুলো সিটি করপোরেশনের অধীন। তবে অভিযানের পূর্ব পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই প্রক্টর স্যারকে জানাতাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক যে, তারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে দাবি করে, কিন্তু এই কোভিডে তাদের মুখে মাস্ক নেই। বাইক চালানোয় নিষেধ থাকলেও তারা মানছে না।’

অনুমতির না নেয়ার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না। শিক্ষার্থীদের জীবন নিরাপদ করতে যখন যা সহযোগিতা প্রয়োজন তা নেয়া হবে৷ আমরা সবাইকে অনুরোধ করব ভালো কাজে সহযোগিতা করার জন্য।’

বিশেষ এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে স্বাগতও জানান প্রক্টর।

এ বিভাগের আরো খবর