অনলাইনে গরু কেনার জন্য বুকিং দিলে এবং নির্ধারিত স্লটার হাউজে কোরবানি দিলে বাসায় মাংস পৌঁছে দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসি ডিজিটাল পশুর হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার এ ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, ‘এটি এবার নতুন নয়। আমাদের ২৫টি ফ্রিজার ভ্যান থাকবে, যা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গাগুলোতে মাংস পৌঁছে দেবে।’
তিনি জানান, ডিএনসিসির অনলাইন পশুর হাট থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং সাভার থেকেও কেউ চাইলে গরু কিনতে পারবেন।
ই-ক্যাবের সমন্বয়ে পরিচালিত হবে গরু-ছাগলের এই অনলাইন হাট।
এ বিষয়ে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল নিউজবাংলাকে বলেন, ডিজিটাল হাটে গেলে সেখানে ‘স অফারিং’ তথা মাংস কাটাকাটি নামে একটি সার্ভিস পাওয়া যাবে। সেখানে গিয়ে বুকিং দিতে হবে।
“কেউ যদি গরু কিনতে চান তবে তাকে বলতে হবে, ‘আমি এই গরুটা হোম ডেলিভারি হিসেবে পেতে চাই’। তখন গরু কেটে হোম ডেলিভারি দিয়ে দেয়া হবে।”
ওয়াহেদ তমাল জানালেন, গরু যে ডিজিটাল হাট থেকে কিনতেই হবে তা নয়। যেকোনোভাবে কিনলেই হবে। যদি কেউ তার বাসার জন্য গরু কেনে আর সে যদি তার বাসাতে গরু কোরবানি দেয়াকে কঠিন মনে করে তবে তিনি সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় পাঠিয়ে দিতে পারেন।
‘সেখান থেকে গরু কোরবানি দিয়ে মাংস বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট টোকেন দেয়া হবে। এটি ঈদের দিন অথবা পরের দিন যেদিন আপনি চাইবেন সেইভাবেই দেয়া হবে।’
ডিজিটাল হাট থেকে পশু কিনলেও মাংস বাসায় পেতে হলে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে জানান ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, সেক্ষেত্রে ফোন কল করে জেনে নেয়া যাবে বিস্তারিত।
ওয়াহেদ তমাল জানান, বাসায় কোরবানির পশুর মাংস পেতে কসাইয়ের জন্য একটা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। আর এটি ত্বত্তাবধায়ন করবে ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সিটি করপোরেশন। আর ই ক্যাব অনলাইনে গরু কেনাটা এনিশিউর করবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এবার ১ হাজার গরু নির্ধারিত স্লটার হাউজে কোরবানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। যারা ১০ জুলাইয়ের মধ্যে কোরবানির গরু কিনে বুকিং দেবে তাদের কোরবানি মাংস আমরা বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে। এজন্য ২৭০টি স্লটার হাউজ করেছে সিটি করপোরেশন।’
বাংলাদেশে ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনেরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা তারেক হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, আসলে তারিখ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ১০ তারিখের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি বাড়ানো হবে। আর লক্ষ্যমাত্রাও তখন বাড়বে।
এই কর্মকর্তা জানান, গতবার ২ হাজারের বেশি পশু সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্লটার হাউজে জবাই করা হয়। এ জন্য একটা চার্জ দিতে হয়, যা নির্ধারণ করে দেয় সিটি করপোরেশন।
উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো জোবায়দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, তাদের ডিজিটাল পশুর হাট থেকে গতবার তিন সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৭ হাজার গরু। এবার টার্গেট নেয়া হয়েছে কমপক্ষে ১ লাখ গরু।
তিনি বলেন, ‘এক লাখ লোকের মধ্যে যদি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গরু বিক্রি করতে পারি, তাহলে কমপক্ষে ৮ লাখ লোক কিন্তু গরুর হাটে যাবে না। আমরা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব।’