আপত্তিকর ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করায় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী উর্মি আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১৬ আগস্ট ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার মামলার এজাহার আসার পর ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আবু সাঈদের আদালত সেটি গ্রহণ করেন। পরে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়াকে মামলা তদন্ত করে আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
একই দিন সকালে সবুজবাগ থানায় দুই জনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন উর্মির বাবা আবুল হোসেন।
আসামিরা হলেন মো. শামীম এবং মো. ফাহিম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উত্তর বাসাবোয় মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন উর্মি। একই এলাকার ফাহিম তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিও দেখিয়ে উর্মিকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন ফাহিম ও শামীম। বেশ কয়েকবার তার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথম দফায় বিশ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় সতের হাজার টাকা নেন আসামিরা। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি উর্মির। আসামিরা তার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল করেছে। একারণে লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাতে গলায় ফাঁস দেন উর্মি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। দুই বোনের মধ্যে উর্মি সবার বড় ছিলেন।