রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হওয়া তিনতলা ভবনের সামনে আবারও গ্যাস লিকেজের ঘটনা ঘটেছে।
ভবনটির সামনে ফুটপাতের নিচের ড্রেনেজ লাইন থেকে রোববার বেলা ১১টার দিকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
সেই ধোঁয়া দেখে আশপাশের মানুষ ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
তারা নিশ্চিত করেন, গ্যাস লিকেজের কারণে ওই ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। সেখান থেকে গ্যাসের গন্ধও ছড়াচ্ছে।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, ওই তিনতলা ভবনের সামনের ফুটপাতের অংশে ওয়াসার সংস্কারকাজের জন্য ড্রেন খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। খুঁড়ে রাখা অংশটি ঘটনার দিন থেকেই ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে ছিল। ওই অংশ থেকেই গ্যাস লিকেজ হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট স্টেশন অফিসার ইউনুস আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে এখানে এসে এলাকাটি কর্ডন করেছি, যেন আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। আমরা এসে দেখলাম, খুব সামান্য পরিমাণ ধোঁয়া মাটির নিচ থেকে উঠছে।’
পুলিশের তদন্ত কমিটির এক সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কয়েক দিন আগে ভবনের ভিতরে একটি অবৈধ গ্যাস-সংযোগ পেয়েছি। সেটি ব্যবহার করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই ভবনে গ্যাস সরবরাহ হয়েছে।
‘আজকে ভবনের বাইরে থেকে গ্যাস লিক হয়েছে। এখন তিতাস কর্তৃপক্ষ যাচাই করে বলতে পারবে আজকের লিকেজ হওয়া লাইন আর ভেতরের অবৈধ লাইন একই কি না।’
তিতাস গ্যাসের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ শাখার (দক্ষিণ) সহব্যবস্থাপক দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখলাম, এটা গ্যাস লাইন লিকেজ। এই লিকেজ বন্ধ করতে হলে আমাদের মাটি খুঁড়তে হবে।
‘এখানে যেহেতু একাধিক তদন্ত সংস্থা কাজ করছে তাই তাদের অনুমতি পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।’
এদিকে নতুন এই লিকেজের কারণে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থলে জরুরি অগ্নিনির্বাপণসামগ্রী মজুত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় আড়ংয়ের শোরুম ও রাশমনো হাসপাতালের উল্টা দিকের মূল সড়ক লাগোয়া ভবনে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত ও দগ্ধ হন অর্ধশতাধিক মানুষ।