শাটডাউনের চতুর্থ দিনে ঢাকার বাইরে যেতে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসে চড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন অনেকে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে সরকারের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ব্যক্তি ও যারা যৌক্তিক কারণ বলতে পারছেন, তাদেরই ঢাকা ছাড়তে দেয়া হচ্ছে। অন্যদের গাবতলীর চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। আর যাদের বের হওয়ার কারণ যৌক্তিক মনে হচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শাটডাউনের চতুর্থ দিন রোববার সাধারণত কর্মদিবস থাকে। তবে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা বলেছে সরকার। তবে এদিন সড়কে যান চলাচল গত তিন দিনের তুলনায় বেশি দেখা গেছে।
গাবতলী চেকপোস্টে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি। শাটডাউনের বিধিনিষেধ কিংবা বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা সড়কে বেরিয়েছেন তারা জরুরি কাজেই বের হচ্ছেন বলে দাবি করছেন। অযৌক্তিক কারণে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কম বলেই বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রাজধানীর বিভিন্ন চেকপোস্ট ঘুরে একই রকম চিত্র দেখা গেছে। গাবতলীতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বের হওয়ার কারণ।
মিরপুর দারুস সালাম জোনের (ট্রাফিক) সহকারী কমিশনার ইত্তেখায়রুল ইসলাম বলেন, সড়কে যান চলাচল বেড়েছে। সকাল থেকেই ব্যক্তিগত ও অফিশিয়াল কাজে ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ঢাকার বাইরে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে চাওয়া মানুষদের একটা বড় অংশ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন।
ইত্তেখায়রুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিধিনিষেধের মধ্যেও যাদের চলাচলের অনুমতি আছে, তাদের আমরা পার করে দিচ্ছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজেও অনেকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় যেতে চাচ্ছেন, তাদের আমরা যেতে না দিয়ে ঢাকায় ফিরিয়ে দিচ্ছি।’
যারা বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছে না, তাদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ইত্তেখায়রুল ইসলাম।
ইত্তেখায়রুল বলেন, ‘সকাল থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দিন শেষে এই সংখ্যা জানাতে পারব।’
গাবতলীর পাশাপাশি মহানগরীর ভেতরে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট পরিচালনা করছে পুলিশ।
এ ছাড়া র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল রয়েছে।
বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে পুলিশ ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তৎপর রয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনও।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেলে সরকার গত বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের শাটডাউন ঘোষণা করে। এরপর থেকে মানুষের চলাচল সীমিত করতে কঠোর হয় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড। পাশাপাশি সারা দেশেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর হয় সেনাবাহিনী।
শাটডাউন চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।