শাটডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে যান চলাচল বেড়েছে। তবে তুচ্ছ কারণে রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম।
শাটডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন রাজধানীসহ বেশ কিছু এলাকায় মানুষের চলাফেরায় দেখা গেছে কড়াকড়ি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ছিল কঠোর অবস্থানে।
অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার দায়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান অনেকে। অনেককে করা হয় জরিমানা। শুক্রবার জরিমানা করা হয় ২০৮ জনকে।
তৃতীয় দিন শনিবার ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬২১ জনকে। এ ছাড়া, বিভিন্ন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
গত দুদিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় সরকারের বিধি নিষেধ মেনে অধিকাংশ মানুষ ঘরেই থাকছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কম।
তবে ভিন্ন চিত্র কাঁচাবাজার ও মাছের বাজারে। গাদাগাদি করে চলছে কেনাকাটা। আর রাস্তায় প্রাইভেটকারের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য।
শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘরে দেখা যায়, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি পয়েন্টেই রয়েছে চেকপোস্ট। চেকপোস্ট, মোবাইল পেট্রোলের পাশাপাশি রোভাস্ট পেট্রোলিং করতেও দেখা গেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তাদের সঙ্গে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ডিএমপির রমনা এলাকায় অনেকগুলো গাড়ি নিয়ে রোভাস্ট পেট্রোলিং করছেন রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান। পেট্রোলিংয়ে থাকা গাড়ি বহরটি শাহবাগ ক্রস করার সময় একটি মোটরসাইকেল আটকায়।
মোটরসাইকেলের চালক করোনা বিধি লঙ্ঘন করে আরেকজন আরোহী নেয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালককে করা হয় ৫০০ টাকা জরিমানা।
চলমান শাটডাউনে মোটরসাইকেলে দুজন চলাচল করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দুজন চলায় এ জরিমানা করা হয়েছে বলে জানালেন রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান।
রোভাস্ট পেট্রোলিং চলাকালে পরিস্থিতি কেমন দেখেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকালের তুলনায় সড়কে গাড়ি ও মানুষের চলাচল বেড়েছে। তবে তা প্রথম দিনের তুলনায় কম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসনসহ রমনা এলাকার বিভিন্ন সড়কে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষকে বিধি নিষেধের বিষয়টি জানানো হচ্ছে। বিনা কারণ বাইরে না বের হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হচ্ছে। আমাদের চলার পথে যাদের বিনা কারণে বাইরে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যেরও টহল এবং চেকপোস্ট পরিচালনা করতে দেখা গেছে।