রাজধানীর ভাটারায় ১৪ বছর বয়সী নির্যাতিত গৃহকর্মী ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন ভিকটিমকে আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মইনুল ইসলাম জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর কুলসুম আক্তারকে তার বড়বোন ফাতেমা বেগমের জিম্মায় বুঝিয়ে দেয়ার আদেশ দেন।
১ জুলাই নির্যাতনের অভিযোগে ভিকটিমের বড়বোন ফাতেমা বেগম ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলায় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আরিফ এবং তার স্ত্রী মাহফুজা রহমানকে আসামি করা হয়।
মামলার পর আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার আরিফকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। শুক্রবার রাতে ভাটারা থেকে মাহফুজাকেও গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মামলা এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ভাটারার এলাকা আসাদুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে ভিকটিম। কাজে সামান্য ভুল হলেই কুলসুমকে লাঠি দিয়ে মারধর, প্লাস দিয়ে মাথার চুল টানা, গায়ের ওপর গরম পানি ঢেলে দেয়া, গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতন করতেন মাহফুজা।
সর্বশেষ ১৫ জুন ঘর পরিষ্কার করতে দেরি হওয়ায় কুলসুমকে বেধড়ক মারধর করেন আরিফ ও মাহফুজা। এমনকি গরম পানি দিয়ে তার শরীর ঝলসে দেয়া হয় এবং চুলায় রড গরম করে তার পায়ে চেপে ধরা হয়। এছাড়া কুলসুমের মুখ, হাত, পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে।
পরে অসুস্থতার কথা বলে ৩০ জুন কুলসুমকে তার বড় বোন ফাতেমা আক্তারের বাসায় রেখে যান মাহফুজা।