বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তার

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২১ ১৬:৫৮

সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার র‌্যাব-১ এবং র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গৃহকর্মী নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী মাহফুজা রহমানকে গ্রেপ্তার করে। কুলসুমা আক্তারকে নির্যাতনের কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।

গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীকে রাজধানীর ভাটারা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া গৃহকর্ত্রীর নাম মাহফুজা রহমান।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১।

র‍্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৩০ জুন ভাটারা-কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় আসাদুর রহমান তার বাসার ১৪ বছর বয়সী গৃহকর্মী কুলসুমা আক্তারকে অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগীর বোন ফাতেমা বেগমের কাছে রেখে দিয়ে চলে যান।

এসময় কুলসুমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়া-ক্ষতসহ বিভিন্ন দাগ দেখতে পান ফাতেমা। চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কুলসুমাকে।

ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই ঘটনায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে দ্রুততম সময়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ায়।

সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার র‌্যাব-১ এবং র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গৃহকর্মী নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী মাহফুজা রহমানকে গ্রেপ্তার করে। কুলসুমা আক্তারকে নির্যাতনের কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে র‍্যাব জানায়, কুলসুমা আক্তার ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর মাহফুজা রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার পর থেকে সামান্য বিষয়ে কুলসুমাকে মারধর করতেন মাহফুজা। কাজে সামান্য ভুল করলেই মাহফুজা তাকে লাঠি দিয়ে মারধর, প্লাস দিয়ে চুল ধরে টান দেয়া, রান্নার কাজে ব্যবহৃত খুন্তি আগুনে গরম করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করাসহ বিভিন্ন উপায়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।

গত ১৫ জুন সকাল আনুমানিক ১০টায় বিবাদীর বাসায় ঘর পরিস্কার করতে দেরি হওয়ায় বিবাদীর স্বামী আসাদুর রহমান লাঠি দিয়ে কুলসুমার পায়ের উরুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং মাহফুজা রহমান গৃহকর্মীর চুলের মুঠি ধরে মেঝেতে ফেলে মারধর করতে থাকেন।

মারধরের একপর্যায়ে আসাদুর রহমান গ্যাসের চুলার আগুনে রড গরম করে কুলসুমার ডান পায়ের হাটুর নিচের অংশে চেপে ধরেন এবং মাহফুজা রহমান ভিকটিমের হাত গরম পানিতে চেপে ধরেন।

এতে কুলসুমার হাটুর নিচে আগুনে পোড়া ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং হাতের তালুতে ফোসকা পড়ে। এভাবে শারীরিক নির্যাতনের কারণে কুলসুমা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার বোনের কাছে দিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগীর বোনের করা মামলায় আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আরিফকে দুই দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেন ভাটারা থানার নারী ও শিশু আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফাত আরা সুলতানা।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার ওই গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে আসাদুর রহমান আরিফ এবং তার স্ত্রী মাহফুজা রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেয়েটির ওপর কয়েক মাস ধরে নির্যাতন চালাচ্ছিলেন গৃহকর্তা আরিফ ও তার স্ত্রী।

তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।

জোয়ার সাহারার এল এম টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্তাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানার পুলিশ।

ভাটারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল হক নিউজবাংলাকে বলেন গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ আসাদুর রহমানের জোয়ার সাহারার বাসায় কাজ করত এই ভুক্তভোগী।

গত বছরের ১২ নভেম্বর মেয়েটি ওই বাসায় কাজ শুরু করে।

তবে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের বাসার গৃহকর্মী ভিকটিমকে আগুনে লোহার খুন্তি ও রড গরম করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করেন।

এতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে ৩০ জুন সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে ভিকটিমকে তার বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেয় বাসার মালিক আরিফ।

খবর পেয়ে ভাটারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতনকারী বাসার মালিককে গ্রেপ্তার করে।

এ বিভাগের আরো খবর