রাজধানীর ভাটারায় ১৪ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আরিফকে দুই দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেন ভাটারা থানার নারী ও শিশু আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফাত আরা সুলতানা।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ওই গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে আসাদুর রহমান আরিফ এবং তার স্ত্রী মাহফুজা রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেয়েটির ওপর কয়েক মাস ধরে নির্যাতন চালাচ্ছিলেন গৃহকর্তা আরিফ।
তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।
জোয়ার সাহারার এল এম টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্তাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানার পুলিশ।
ভাটারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল হক নিউজবাংলাকে বলেন গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ আসাদুর রহমানের জোয়ার সাহারার বাসায় কাজ করত ভিকটিম।
গত বছরের ১২ নভেম্বর মেয়েটি ওই বাসায় কাজ শুরু করে।
তবে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের বাসার গৃহকর্মী ভিকটিমকে আগুনে লোহার খুন্তি ও রড গরম করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
এতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে ৩০ জুন সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে ভিকটিমকে তার বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেয় বাসার মালিক আরিফ।
খবর পেয়ে ভাটারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতনকারী বাসার মালিককে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে ভাটারা থানায় পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে।
মামলার পর আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।