বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধান সড়ক নীরব, সরব অলিগলি

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২১ ২১:০৬

বৃহস্পতিবার শাটডাউনের প্রথম দিন কেবল ঢাকায় প্রায় ছয় শ মানুষকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত সত্য বলেই প্রমাণিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে কেবল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সাড়ে তিন শর মতো মানুষ।

শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে মানুষ ও গাড়ির চলাচল প্রথম দিনের চেয়ে দেখা গেছে কম। কিন্তু বিপরীত চিত্র অলি-গলিতে।

প্রধান সড়কগুলোতে ট্রাফিক ও থানা পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। অলি-গলিতেও দেখা গেছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের। তবে গলি পথে মানুষের বের হওয়া ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে এই কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়। এই ধরনের বিধিনিষেধ গত দুই বছরে বেশ কয়েকবারই ঘোষণা হয়েছে। তবে সরকার যে এবার কঠোর হবে, সেই ইঙ্গিত আগেই ছিল। ঘোষণা ছিল সেনা নামবে, কাজ করবে প্রশাসনের শতাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশের আরও আদালত তো ছিলই।

বৃহস্পতিবার শাটডাউনের প্রথম দিন কেবল ঢাকায় প্রায় ছয়শ মানুষকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত সত্য বলেই প্রমাণিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে কেবল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সাড়ে তিনশর মতো মানুষ।

এই কঠোর অবস্থানের কারণে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো ছিল বেশ ফাঁকা। বৃহস্পতিবার প্রথম দিন যে কয়টি অফিস খোলা ছিল, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি বলে সেই অফিসগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ।

তবে গলিতে প্রচুর মানুষকে অযথা ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। তাদের ধারণা, এখানে হয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসবে না।

সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ বনশ্রী ১০ তলার সামনে পুলিশের একটি গাড়িতে করে তিনজন যুবককে ধরে নিতে দেখা যায়। সেখানে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানান, এই যুবকরা অকারণে ঘুরছিল। মুখে মাস্কও ছিল না। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ভয়ে কয়েকজন তরুণকে দৌঁড়ে পালাতেও দেখা যায়।

পুরান ঢাকার বাবুবাজার, সোয়ারিঘাট, লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গিরচর, হাজারীবাগ এলাকার প্রতিটি গলিতেই ছিল মানুষের সমাগম। রাস্তার পাশে বাজার ও গলিতে থাকা চায়ের দোকান ঘিরে দিনভর জটলা ও আড্ডাও দেখা গেছে।

লালবাগ সড়ক ধরে দুপাশেই প্রতিটি গলিতে মানুষের ভিড় পাওয়া যায়। একই দৃশ্য বেড়িবাঁধ পেরিয়ে পশ্চিম হাজারীবাগ এলাকায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দীন মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী অলি-গলি সব জায়গায় টহল দিচ্ছি। বিনা কারণে বাইরে ঘুরছে এমন যাদের পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতকালকেও আমরা গ্রেপ্তার করছি, আজকেও করছি।

‘তবে প্রতিটি মোড়ে আমাদের পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব না। আমাদের টহল গাড়ি গেলে বাসায় চলে যায়। আমরা চলে আসলে আবার বের হয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, যাতে মানুষ বিনা কারণে না বের হয়।’

তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও হাতিরঝিল এলাকা দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর দলের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর হাসান চৌধুরী। নিউজবাংলাকে তিনি জানান, ‘মূল সড়কের তুলনায় অলি গলিতে সাধারণ মানুষের চলাচল বেশি। তবে গতবারের তুলনায় এবার মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতা কম।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তকে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিয়েছে। নির্দেশনা মেনে ঘর থেকে কম বের হচ্ছে। তারপরও যারা আইন মানছে না তাদেরকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনছি।’

প্রধান সড়কে চলাচল করা গাড়িগুলোর মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২১৯টি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এসব মামলায় জরিমানা আদায় হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে একাধিক গাড়িকে।

এ বিভাগের আরো খবর