বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাটডাউন-ছুটি-বৃষ্টিতে ঘুমাচ্ছে ঢাকা

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২১ ১০:৫৭

কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত উত্তরা, মৌচাক, ধানমন্ডি, বনানী, গুলশান, আজিমপুর, বিজয় সরণি, হাতিরঝিল, বাড্ডা, খিলগাঁও এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

‘শাটডাউন’, সাপ্তাহিক ছুটি আর বৃষ্টিতে ভিন্ন এক রূপ পেয়েছে ঢাকা। তন্দ্রাচ্ছন্ন চারপাশ। এ যেন বর্ষার রাবীন্দ্রিক রূপ।

‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাই রে

ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাইরে।’

কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত উত্তরা, মৌচাক, ধানমন্ডি, বনানী, গুলশান, আজিমপুর, বিজয় সরণি, হাতিরঝিল, বাড্ডা, খিলগাঁও এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কেমন যেন ঘুমাচ্ছে রাজধানী।

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী রুখতে বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন, যা সব মহলে পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন নামে।

শাটডাউনের প্রথম দিন রাজধানীসহ বেশ কিছু এলাকায় মানুষের চলাফেরায় দেখা গেছে কড়াকড়ি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ছিল কঠোর অবস্থানে।

অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার দায়ে সারা দেশে ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান অনেকে। অনেককে করা হয় জরিমানা।

তবে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রতিটি মোড়ে একেবারে অচেনা এক পরিবেশ দেখা যায়। মানুষের চলফেরা নেই বললেই চলে। অলস সময় কাটাতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও। আর রাস্তায় যেসব গাড়ি দেখা গেছে এর বেশির ভাগই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম ও অন্যান্য জরুরি সেক্টরের আওতাধীন।

তারা বলছেন, মানুষের অহেতুক কোনো চলাফেরা নেই, তাই খুব বেশি টহলেরও দরকার পড়ছে না।

বাড্ডা সিগন্যালে এক পুলিশসদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানুষের চলাফেরা নাই। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। লকডাউনের মধ্যে শুক্রবার তার ওপর বৃষ্টি। সবাই মনে হয় ঘুমাচ্ছে।’

বনানী এলাকায় কথা হলো জামাল হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে। ছাতা মাথায় হাঁটছিলেন। শাটডাউনে বাইরে কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই, ওষুধ কিনতে যাচ্ছি। তা না হলে এমন দিন কেউ বের হয়।’

রাতভর বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক জায়গায় পানিও জমেছে। মগবাজার, বাড্ডা, খিলগাঁও এলাকার কোথাও কোথাও দেখা গেল থইথই পানি। অবশ্য মানুষের চলাফেরা না থাকায় এই জলাবদ্ধতা শুক্রবার অন্তত ভোগান্তি সৃষ্টি করছে না।

নগরীর মোড়ে মোড়ে শাটডাউনের প্রথম দিনের মতোই চেকপোস্ট দেখা গেছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর।

বাটা সিগন্যাল এলাকায় দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সার্জেন্ট এ বি এম হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, অকারণে রাস্তায় বের হয়েছে এমন কাউকে পাওয়া গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গতকালকে ঢাকা শহরে পাঁচ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর একটা প্রভাব দ্বিতীয় দিনে পাওয়া যাচ্ছে।

‘আমরা গতকালের মতোই কঠোর অবস্থানে থাকব। শাটডাউন চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেয়া হবে না। যাদের পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর অন্তত ২৩টি পয়েন্টে তাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশজুড়েই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এমনটা পুরো দিনই চলবে।

এ বিভাগের আরো খবর