করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে চলমান শাটডাউনের মধ্যে অকারণে ঘোরাঘুরি করায় রাজধানীতে ২৪৯ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এর মধ্যে ৮ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে।
আটকদের মধ্যে ৭৩ জনকে বিভিন্ন কারণে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর ৫৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে ৬ হাজার ২০৭ টাকা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে, যা পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে। এ সময়ে জরুরি পরিষেবার দপ্তর ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস। জরুরি পণ্যবাহী যানও সচল থাকবে এ সময়ে।
সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় চলাচল করায় রাজধানীতে দুপুর পর্যন্ত মোট ২২২টি গাড়িকে ২ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি গাড়িকে রেকারিং করা হয়েছে। আর আটক করা হয়েছে ৬টি গাড়ি।
পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ১০টি দোকানকে মোট ৩৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্যরা মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে আসায় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
‘এ ছাড়া কিছু যানবাহন আটকানো হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’
এর আগে বুধবার শাটডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘কেউ অকারণে বের হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ব্যবস্থা নেব। অকারণে বের হলেই আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। যানবাহন ব্যবহার করলে মোটরযান আইনে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারা অনুযায়ী কেউ বাইরে বের হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হবে, যেটি আমরা এর আগে কখনো করিনি।
‘এবারে আমরা এই অবস্থান পর্যন্ত যাব। আপনারা এমনও শুনতে পারেন ডিএমপি প্রথম দিন পাঁচ হাজার লোক গ্রেপ্তার করেছে। এবার আমরা অত্যন্ত শক্ত অবস্থায় থাকব।’
বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের শাটডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীবও মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগেরবার করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ চালু থাকার সময়ও সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়ন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।’