রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় নুরুন্নবী মণ্ডল নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নুরুন্নবী ভ্যান চালাতেন। তিনি থাকতেন হাতিরপুলের বাটা সিগন্যাল মোড়ে একটি মেসে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
নুরুন্নবীসহ মগবাজারে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ জনে।
সামন্ত লাল বলেন, ‘নুরুন্নবীর শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ছাড়া শরীরে গ্লাসের কাটা জখমও ছিল। পাশাপাশি তার শ্বাসনালিও দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হলো।’
বর্তমানে ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে দগ্ধ তিনজন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে থাকা রাসেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
একই ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যালে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন।
মৃত নুরুন্নবীর স্ত্রী পপি আক্তার জানান, তাদের শ্বশুরবাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে। শ্বশুরের নাম ইসলাম মণ্ডল।
পপি আরও জানান, তিনি এক ছেলে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। স্বামীর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনার পরদিন ঢাকায় আসেন তিনি।
মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় আড়ংয়ের শোরুম ও রাশমনো হাসপাতালের উল্টা দিকের মূল সড়ক লাগোয়া ভবনে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় আহত ও দগ্ধ অনেকের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
আকস্মিক বিস্ফোরণ ও তা থেকে সৃষ্ট বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের কয়েক শ মিটার এলাকা। বেশ কিছু ভবনের কাচ ভেঙে যায় শব্দের প্রচণ্ডতায়।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা।