ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পরিবেশদূষণ ও জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে কোনো নির্মাণকাজ করা যাবে না।
গুলশানের নগর ভবনে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সঙ্গে বুধবার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ, খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও অবৈধ দখলসংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আতিক বলেন, ‘ভবন নির্মাণের সময় ডিএনসিসির জায়গায় নির্মাণসামগ্রী রাখার জন্য অনুমতি নিতে হবে, নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। এ-সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন খুব শিগগির প্রণয়ন করা হবে।’
মেয়র বলেন, ‘গাইডলাইন কমিটি হবে পাঁচ সদস্যের, যাতে ডিএনসিসির তিনজন ও রিহ্যাবের দুজন সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
আতিক বলেন, ‘হাউজিং কোম্পানিগুলোর অবহেলার কারণে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী রাস্তা ও ড্রেনে জমে থাকে, জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
‘কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে ভবন নির্মাণ না করার কারণে পরিবেশদূষণসহ এডিসের প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়।’
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি বাড়িতেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
মেয়র আতিক বলেন, ‘গুলশান, বনানী ও বারিধারার যেসব ভবনের বর্জ্য সরাসরি জলাশয় কিংবা ড্রেনে ফেলা হয়, সেগুলোর নির্গমন পথ কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।’