বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সমন্বয়হীনতায় জলাবদ্ধতা’

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২১ ১৭:০৬

তাপস বলেন, ‘আসলে ঢাকা শহরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে, সামগ্রিকতা চিন্তা না করে প্রকল্প নির্ভর কাজ করার কারণে সমস্যাগুলো রয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে সমন্বয় করে কাজ করা যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যার সমাধান করা যায়।’   

মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের সমন্বয়হীনতা ও সামগ্রিকভাবে চিন্তা না করার কারণেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গুচ্ছাকারে (পকেট) জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শনে গিয়ে বুধবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের টিকাটুলী খেলার মাঠের উদ্বোধন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কিছু কিছু এলাকার কোনো কোনো অংশে গুচ্ছাকারে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আজ এখান থেকে আমরা শনির আখড়া যাব। শনির আখড়ায় আমরা কাজলা খাল উদ্ধার করেছি। কিন্তু তারপরও পানি নিষ্কাশন এখনো পুরোপুরি হচ্ছে না।

‘সেখানকার প্রতিবন্ধকতা হলো, সেখানে মেট্রোরেলের কাজ চলছে, সে প্রকল্পের কারণে পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে হচ্ছে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি, দেন-দরবার করছি।’

তাপস বলেন, ‘আসলে ঢাকা শহরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে, সামগ্রিকতা চিন্তা না করে প্রকল্প নির্ভর কাজ করার কারণে সমস্যাগুলো রয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে সমন্বয় করে কাজ করা যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যার সমাধান করা যায়।’

মেয়র আরও বলেন, ‘আপনারা আমার সাথে ঘুরে ঘুরে দেখছেন, নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন, উন্মুক্ত জায়গায় বর্জ্য ফেলাতে এবং যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী রাখা, প্লাস্টিক জাতীয় বোতল ফেলা, সেগুলো গিয়ে নর্দমার মুখগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে; ভেতরে বদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা দেখছি, সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি।’

নগরবাসী জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের সুফল আগামী বছর থেকে পাওয়া শুরু করবে বলে জানান তিনি।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ বছর সে কাজের সুফল না পেলেও আগামী বছরগুলোতে নগরবাসী তা পাওয়া শুরু করবে। অবকাঠামো উন্নয়নে যে কাজগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে, তা শেষ হলেই নগরবাসী ক্রমান্বয়ে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি লাভ করবে।’

মতিঝিল এলাকার জলাবদ্ধতার প্রশ্নে মেয়র বলেন, ‘এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, সেই কাজটি ঠিকাদার সময়মত শেষ করতে পারেনি। দায়িত্ব নয়োর পর সে অভিযোগে ঠিকাদারকে বাদ দিয়েছি, বি সার্কুলার রোডে জলাবদ্ধতা নিরসনেও কাজ চলছে। এগুলো শেষ হলে জলাবদ্ধতার প্রকোপ থাকবে না।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘এই মাঠে খেলার কোনো পরিবেশ ছিল না। এখন খেলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ থেকে মাঠটি উন্মুক্ত করা হলো। এখন থেকে ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করতে পারবে।’

এক এক করে নির্বাচনি ইশতেহার পূরণ করবেন জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার মাঠ তৈরি করতে চাই।’

আগে দক্ষিণ সিটির মেয়র নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের মুক্তাঙ্গনে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন, ফকিরাপুল মোড় হতে মতিঝিল পেট্রোল পাম্প এলাকা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ ও নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পরে তিনি রায়েরবাগ থেকে শনির আখড়া পর্যন্ত কয়েকটি জলজটপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন ও আজিমপুর শিশুপার্কের উদ্বোধন করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর