রাজধানীর মগবাজারের তিন তলা বাণিজ্যিক ভবনের নিচ তলায় রোববার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মামলা করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম।
তিনি দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
রমনা থানার আরেক এসআই সহিদুল ইসলাম মাসুমকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়।
মামলার এজাহারের একটি অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা।
এজাহারে যা আছে
মামলার বাদী তার প্রাথমিক অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে ভবনমালিক, দোকানমালিক ও রাষ্ট্রীয় তিনটি প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
তিনি এজাহারে লিখেন, ওই ভবন মালিকের সার্বিক অব্যবস্থাপনা, অতি পুরাতন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস ব্যবস্থাপনা অথবা ভাড়াটিয়া দোকানদার শর্মা হাউজের অননুমোদিত গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবহার ও অবহেলা অথবা বেঙ্গল মিটের অননুমোদিত গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবহার ও অবহেলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গ্র্যান্ড কনফেকশনারির অননুমোদিত গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবহার ও অবহেলা অথবা দ্বিতীয় তলায় সিঙ্গার ইলেকট্রনিক্সের অননুমোদিতভাবে বৈদ্যুতিক সামগ্রী মজুত রাখা ও অবহেলা অথবা তিতাস গ্যাস কোম্পানির অবহেলাজনিত গ্যাস সরবরাহের কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানির ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ অথবা ঘটনাস্থলের সামনে সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত ও গাফিলতিপূর্ণ ড্রেন খনন করে সংস্কারকাজও বিস্ফোরণে দায়ী হতে পারে।
ওই তিন তলা ভবনের বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের যানবাহন ও অন্যান্য একাধিক ভবনের ক্ষতি ও হতাহতের কথা উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
এতে ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
সবশেষ বুধবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বেঙ্গল মিটের এক কর্মীর।
বিস্ফোরণের ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহতের কথাও বলা হয়েছে এজাহারে।