দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে বিভিন্ন অস্ত্র আসছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
২৪ মে আশুলিয়ার নাল্লাপাড়া এলাকায় মসজিদের খাদেম নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
এ ঘটনায় রোববার রাতে রাকিব হোসেন ও তার সহযোগী ইমন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশ করছে। একটি সিন্ডিকেট আছে। সেই সিন্ডিকেট এসব অস্ত্র সংগ্রহ করছে। এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধ করার চেয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোই বড় কাজ। আবার অনেক সময় এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধও করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশুলিয়ার একটি মসজিদের খাদেম নজরুল ইসলাম এক নারীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই টাকা দিতে দেরি হওয়ায় দুইজনের মধ্যে বিরোধ হয়। এতে নজরুলকে ডেকে হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগের পর আদালতে মামলা করেন নজরুল।’
‘মামলার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই নারী আলিম নামে একজনকে দিয়ে মসজিদের খাদেম নজরুলকে শায়েস্তা করবেন বলে ঠিক করেন। পরে আলিম তার গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে নজরুলকে কুপিয়ে জখম করেন। অভিযুক্তরা খাদেমকে কুপিয়ে জখমের পর আত্মগোপনে চলে যান। তারা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকদিন ধরে পালিয়েও বেড়িয়েছেন। এলাকাবাসী দোষীদের গ্রেপ্তারে মানববন্ধন করেন। সবশেষ গতরাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রেপ্তার রাকিব ও ইমনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের কিশোর গ্যাং গ্রুপ সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকেই তারা দুষ্ট ও দুরন্ত। কিশোর বয়সেই তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত যায় বলে আমরা তাদের কিশোর গ্যাং বলি। তাদের অনেক সঙ্গী আছে। তারা কোনো না কোনোভাবে মাদকাসক্ত। কিশোরদের মধ্যে ফিল বেশি কাজ করে, এতে তাদের সহজে মোটিভেট করা যায়।’
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, চাইনিজ কুড়াল, দুইটি ফোল্ডিং চাকু, চাপাতি ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।