আংশিক লকডাউনে রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজির দাম কমেছে। ভিড়ও কম।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত শনিবার বাজারে প্রচুর ভিড় ছিল। তবে এই ভিড় রোববার থেকে কমতে শুরু করে সোমবার একেবারেই কমে গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে সারা দেশে রিকশা ছাড়া যাত্রী পরিবহনে আর কোনো বাহন চলবে না।
সোমবার সকালে রাজধানীর টাউনহল কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা যায়, লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মুখির কেজি ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০, পেপে ৪০ টাকা, মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, শশার ৬০ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনিয়ার পাতা ২০ টাকা আটি, গাজর ৬০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা, ফুলকপি ৫০ পিস, কাচা কলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি ও কুমড়ার কেজি ১৪ টাকা।
সবজি বিক্রেতা মো. ইউনুস নিউজবাংলাকে বলেন, পরশু বাজারে কাস্টোমারের ব্যাপক ভিড় ছিল। কাল থেকে এই ভিড় কমতে শুরু করেছে। আর আজকে তো কাস্টোমার নাই বললেই চলে। সবজির দাম পরশু বেশি ছিল। সেই তুলনায় আজ কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আছে।
কথা হয় বাজার করতে আসা হাসান বাপ্পির সঙ্গে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে বাজারে এসে ভালোই লাগছে। বাজার অনেকটা ফাঁকা। অন্যদিন তো ঠেলাঠেলি করে বাজার করতে হয়। সবজির দামও স্বাভাবিক আছে।’
ব্যবসায়ি মো. হাসান বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, আলুর কেজি ২৫ টাকা, আদা ১৬০ থেকে ২২০ টাকা, রসুনের কেজি ১০০ টাকা। পেঁয়াজ-রসুনের দাম তেমন একটা বাড়ে নাই। বাজারে ক্রেতা কম।
মাংসের বাজারেও সোমবার সকালে ক্রেতার তেমন আনাগোনা চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমানে মাংসের সরবরাহ থাকলেও চাহিদা কম।
মুরগির দোকানি শরীফ মাহমুদ বলেন, সোনালী মুরগি ২১০ টাকা কেজি, দেশি মুরগী ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগী ২৬০ টাকা ও পোলট্রি মুরগী ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।
ক্রেতা ও দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুরগির মাংসের দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা হের-ফের হয় ইদানিং। ওইভাবে বাড়ে নাই। বাজারে ক্রেতা তেমন নাই। নরমাল সময়ের থেকেও আজ ক্রেতা কম।
এছাড়া খাসির মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি, গরু মাংসের কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা।