পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইল মামলায় রাজধানীর বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার চিত্র পরিচালক সুজন বড়ুয়াকে এক দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। একই মামলায় গ্রেপ্তারের দিনই কারাগারে পাঠানো হয়েছে মডেল নাদিয়া প্রিয়াকে।
ঢাকা মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আবু সাঈদ সোমবার সুজন বড়ুয়াকে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্টারনেট রেফারেল টিমের সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ পরিদর্শক (এসআই) শারমিন সুলতানা আসামি সুজন বড়ুয়াকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
আসামি পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ। রাষ্ট্র পক্ষে রিমান্ডের পক্ষে ও জামিনের বিরোধিতা করেন ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার ভক্ত।
একই মামলায় গত রোববার মডেল নাদিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর আদালতের আরেক হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
ভাটারা থানায় করা সাইবার পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ মামলায় সুজন বড়ুয়া ও নাদিয়াকে রোববার গ্রেপ্তার করে সাইবার পুলিশ। তাদের থেকে জব্দ করা বেশ কিছু ডিভাইস থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করার কাজে ব্যবহৃত আইডি ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নাদিয়া প্রিয়াকে একজন প্রযোজকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সুজন বড়ুয়া। পরে প্রযোজক ও নাদিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। নাদিয়া কৌশলে প্রযোজকের গোপন ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এর পর থেকে একটি ফেসবুক আইডি থেকে নাদিয়া প্রযোজককে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেন।
এ ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বাড্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইলকৃত আইডি ও অশ্লীল ভিডিওসহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।