মগবাজার বিস্ফোরণের মাথায়, মুখে আঘাত পেয়েছেন বনানী স্টার কাবাবের কর্মী নয়ন। তিনি বাসে করে যাচ্ছিলেন। ভবনে বিস্ফোরণের আঘাত এসে লাগে বাসে।
নয়ন বলেন, ‘বিরাট একটা শব্দ শুনছি, চাইয়া আগুনের একটা গুলা দেখছি, এরপর কিছু মনে না।’
বিস্ফোরণের পর অজ্ঞান হয়ে যান নয়ন। তাকে পথচারীরা ধরে বাসের বাইরে নিয়ে আসে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নয়নসহ ৪০ জন ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে এসেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণ ঘটে। এর ব্যাপকতা এত বেশি ছিল, সড়কে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়। আশেপাশে মোট সাতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
বিপুল সংখ্যক মানুষ পুড়ে আহত হওয়ার পাশাপাশি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্সের সহকারী ইনচার্জ এএসআই আব্দুল খান বলেন, জরুরি বিভাগে যারা এসেছেন, তাদের অধিকাংশের মাথায় আঘাত। এছাড়া হাত, পা ও শরীরে আঘাত রয়েছে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের আঘাতের ধরণ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিভাগে রোগীদের পাঠানো হচ্ছে।
ঢাকা মেডিক্যালে আসা ৪০ জনের মধ্যে ২৪ জনের নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু।
যাদের নাম প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে আছেন:
মো. মামুন, তার আঘাত মাথায়।
শাহ নেওয়াজ পাটয়ারী।
হৃদয়, বাম পাজরে কাটা জখম।
জান্নাত, শমস্ত শরীরে কাটা জখম।
আরিফুল ইসলাম, মাথায় আঘাত।
মেহেদী হাসান নয়ন।
মাহাবুব আলম, বাম চোখে আঘাত।
মো. মুসা, মাথায় ও ডান হাতে আঘাত।
শাহজাহান, বাম চোখে আঘাত।
আবুল ফজল মাথায় আঘাত।
সালেহা বেগম, মাথায় আঘাত।
লাকি আক্তার, মাথায় আঘাত।
অন্যান্যরা হলেন স্বপন, মো. শহিদ, নিহিত, সৈকত, সাজ্জাদ, আইয়ুব খান, সুভাষ চন্দ্র সাহা, আরমান, রতন, মোকতার, আসাদ।
এছাড়া শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ১২ জন আসেন। তাদের মধ্যে ২ জন মারা যান। বাকি ১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। মৃত দুজনের নাম জানা যায়নি। চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ৬ জনের নাম জানা গেছে।
তারা হলেন আবুল কালাম আজাদ, মোতালেব হোসেন, জামাল, নয়ন, আবুল কালাম, ও কালু।