বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মগবাজার বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে ৭

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২১ ২২:৩৫

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৭ জনের নিহতের খবর পেয়েছি।’

রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আরও অর্ধশতাধিক জনের।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৭ জনের নিহতের খবর পেয়েছি।’

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার আড়ংয়ের শোরুম ও রাশমনো হাসপাতালের উল্টো দিকের মূল সড়ক লাগোয়া একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুনের ঝলকানি দেখা গেলেও তা অগ্নিকাণ্ডে রূপ নেয়নি।

কিন্তু বিস্ফোরণ এত ভয়াবহ ছিল যে, শত ফুট দূরত্বে থাকা রাস্তার উল্টো পাশের আড়ং ভবনের ৫ তলা পর্যন্ত যত কাঁচ ছিল সব ভেঙে পড়েছে। পাশের তিন তলা বিশাল সেন্টারেরও কোনো কাঁচ অক্ষত নেই।

বাংলামোটর আর ওয়্যারলেসকে সংযুক্ত করা ফ্লাইওভারের ওপর যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ওই বিস্ফোরণে। যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে তার পেছনে দেখা যায়, দেয়াল ভেঙে গেছে। বিস্ফোরণের আঘাতে ভবনের কিছু অংশ বেরিয়ে আসে। উপরের তলায় থাকা সিঙ্গার শোরুমের স্তূপ করে রাখা ফ্রিজ অরক্ষিত অবস্থায় সেখানে আটকে আছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছে, পুরো ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। অপর প্রান্তে গোটা সড়কজুড়ে সব ভাঙা কাঁচ। সাধারণ পথচারীদের হাঁটা চলা বন্ধ রেখেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রত্যক্ষদর্শী গাড়িচালক মো. মিঠু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণটি বিকট শব্দের ছিল। আগুনের ঝলকানিও দেখছি। অনেকে আহত হয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিতে দেখেছি।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, মগবাজার বিস্ফোরণকে নাশকতা হিসেবে দেখছে না তারা। তার ধারণা, জমে থাকা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেয়া ফায়ার সার্ভিস বলছে, এটা বোমাসদৃশ বিস্ফোরণ। তারা বলছে, এটা অনেক বড় বিস্ফোরণ ছিল; শব্দ হয়েছে বোমা ফাটার মতো।

তবে ঠিক কী কারণে এ বিস্ফোরণ তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। প্রকৃত কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের কমিটি। সাত কার্য দিবসে প্রতিবেদন জমা দেবে তারা।

এ বিভাগের আরো খবর