বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাটডাউন পেছানোয় সুপারশপে ভিড় নেই

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২১ ২২:০৩

‘সোমবার লকডাউন ভেবে অনেকেই শনিবার সন্ধ্যার পর আমাদের আউটলেটে ভিড় করেছিলেন। তবে রোববার সকাল থেকে ক্রেতার সংখ্যা স্বাভাবিক আছে। লকডাউন পেছানোর ফলে অনেক ক্রেতা হয়তো তাদের মন পরিবর্তন করেছেন। মঙ্গল ও বুধবার বিকেলে ভিড় বাড়বে।’

সরকার শাটডাউন পিছিয়ে দেয়ায় রাজধানীর সুপারশপগুলোর উপচে পড়া ভিড় রোববার স্বাভাবিক হয়েছে। আগের দিন শনিবার এসব দোকানে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা দেখা গেছে।

রোববার রাজধানীর তিনটি সুপারশপে গিয়ে স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্রেতার আনাগোনা দেখা যায়।

রাজধানীর মগবাজারের আগোরা সুপারশপে দুপুর ১২টায় দেখা যায় অল্প কয়েকজন ক্রেতা। ভেতরে পণ্য সাজাতে ব্যস্ত কর্মীরা। সন্ধ্যায় ভিড় বাড়বে এটা ধারণা করে রেখেছেন তারা।

আগোরা সুপারশপের কাস্টমার রিলেশনশিপ কর্মকর্তা নুপুর শরীফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার লকডাউন ভেবে অনেকেই শনিবার সন্ধ্যার পর আমাদের আউটলেটে ভিড় করেছিলেন। তবে রোববার সকাল থেকে ক্রেতার সংখ্যা স্বাভাবিক আছে। লকডাউন পেছানোর ফলে অনেক ক্রেতা হয়তো তাদের মন পরিবর্তন করেছেন। মঙ্গল ও বুধবার বিকেলে ভিড় বাড়বে।’

নুপুর বলেন, গত দেড় বছর ধরে এমন চিত্রই দেখতে পাচ্ছেন তারা। লকডাউন ঘোষণার আগের দুদিন আউটলেটে সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় থাকে। সবাই এখন এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কিছু পণ্যের মজুত বাড়াতে হয়। তবে কখনও ঘাটতি থাকে না।

একই কথা জানান মগবাজারের আরেকটি জনপ্রিয় সুপারশপ মিনা বাজারের আউটলেট ইনচার্জ রুপম রয়।

রুপম বলেন, ‘আমাদের এখানে ক্রেতার আনাগোনা স্বাভাবিক আছে। তবে গতকাল (শনিবার) ছুটির দিন হওয়ায় বিকেলের পর ভিড় একটু বেশি ছিল। আমরা ধারণা করেছিলাম, লকডাউন যদি সোমবার হয়, তবে আজ (রোববার) এই ভিড় বাড়তে পারে। তবে তা হয়নি।’

রুপম জানান, সাধারণত সকালে একটু ভিড় থাকে, তবে অনেকেই দুপুরের সময়টা বেছে নেন। আবার অফিস শেষেও অনেকে আসেন।

তবে সন্ধ্যার পর স্বপ্নের শান্তিবাগ আউটলেটের ক্যাশিয়ার ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা আসার পর ভিড় একটু বেড়েছে। তবে তা খুব বেশি নয়। আশা করছি কাল-পরশু ভিড় বাড়বে।’

শাটডাউনে সুপারশপ বন্ধ রাখতে হবে কি না বা খোলা রাখলেও কতক্ষণ, সে বিষয়ে এখনও তাদের কিছু জানানো হয়নি বলে জানান ইমতিয়াজ।

চাল ডাল তেলের সংকট

লকডাউনের প্রভাবে সুপারশপগুলোতে বেশি বিক্রি হয় চাল, ডাল, তেল ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো। তাই এগুলোর মাঝে মাঝে সংকট দেখা যায়।

রাজধানীর ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় অবস্থিত স্বপ্ন সুপারশপের আউটলেট অপারেশন ম্যানেজার প্রশান্ত দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি সব পণ্যের মজুত ঠিক রাখতে। তবে বেশি বিক্রি হয় চাল, ডাল ও তেল। বিগত কয়েকটি লকডাউনের অভিজ্ঞতা সামনে রেখে আমরা সেভাবে আউটলেটে পণ্য সরবরাহ করে থাকি।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় বিস্কুট, চা-সহ বিভিন্ন মসলার চাহিদা আছে। যেসব আউটলেটে মাছ আছে, সেখানে মাছের চাহিদাও প্রচুর। কম দামে সবজিসহ অনেক পণ্য সুপারশপে সরবরাহ করা হয় বলে কাঁচাবাজারের চাহিদাও এখানে পূরণ হচ্ছে অনেকটা।

মিনা বাজারের আউটলেট অফিসার মো. শামীম বলেন, ‘আমরা ধরে নিয়েছি, লকডাউন ঘোষণা হলে ভিড় বাড়বে। এ ছাড়া করোনার কারণে অনেক ক্রেতা এখন সুপারশপে চলে আসেন। আমরা সব ধরনের চাহিদার কথা মাথায় রাখি।’

কী বলছেন ক্রেতারা

আগোরা সুপারশপের কর্মকর্তা নুপুর বলেন, সাধারণত দুপুরে গৃহিণীরা আসেন কেনাকাটা করতে। আর বিকেলে অনেকেই সপরিবারে আসেন।

আগোরায় বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান আকিব বলেন, গত দুই লকডাউনের আগের দিন বিকেলে এসে তিনি কেনাকাটা করতে পারেননি। সুপারশপে কম দাম থাকে অনেক পণ্যের। এই জন্য আসা হয়।

স্বপ্ন সুপারশপে কেনাকাটা করতে আসা নাজমুন নাহার শীলা বলেন, ‘সোমবার লকডাউন হলে একটু বেশি কেনাকাটা করতাম। এখন যেহেতু রোববার, তাই আগে থেকে অল্প কিছু জিনিস কিনে রাখছি।’

বিভিন্ন সুপারশপের কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, লকডাউন এবার আরও কড়াকড়ি হবে এই কারণে বেশি করে বাজার করছেন ক্রেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর