মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিউ-মিডিয়াবান্ধব হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে তথ্য ভবন মিলনায়তনে রোববার দুপুরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রচার কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের ভূমিকা বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নিউ-মিডিয়ার প্রেক্ষাপটে জনসংযোগের কাজ কেমন হবে সেটি সবার জানা থাকা প্রয়োজন এবং সে অনুযায়ী কাজ করার সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আগে জনসংযোগ কর্মকর্তারা সংবাদ পরিবেশনের জন্য একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিলেই যথেষ্ট ছিল, বর্তমান বাস্তবতায় সেটা যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য তথ্যমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, ‘জনসংযোগ কর্মকর্তারা যদি সংবাদের শর্টফিড বা অডিও-ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নেট বা মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়, সেটা অনেক কার্যকর হয়। কারণ পত্রিকার পাশাপাশি টেলিভিশন দেখে কমপক্ষে তিন কোটি মানুষ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে পৌনে সাত কোটি মানুষ।’
সংবাদটা যদি টেলিভিশন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না যায় তাহলে অনেক মানুষ সেই সংবাদ পাচ্ছেন না বলেও মনে করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়গুলো সব জনসংযোগ কর্মকর্তার একেবারে আঙ্গুলের ডগায় থাকতে হবে, এর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোও তাকে দিতে হবে। আমি নিজে গভীর রাত পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখি, ক্ষেত্রবিশেষে আমার জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি।’
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অর্জন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অবহিত করাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলছেন মন্ত্রী। তার যুক্তি, ‘যেহেতু আমাদের দায়িত্ব সরকারের কর্মযজ্ঞের প্রচার, মন্ত্রণালয়গুলোর অর্জনের তথ্য পেলে আমরা সেটি সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করতে পারবো। মনে রাখতে হবে, প্রচারের জন্য প্রেসব্রিফিং বা কনফারেন্সের পাশাপাশি নিবন্ধ প্রকাশও গুরুত্বপূর্ণ।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, সাবেক সচিব কামরুন নাহার এবং অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফয়জুল হক তাদের বক্তব্যে জনসংযোগ কর্মকর্তাদেরকে সরকার ও গণমাধ্যমের সেতুবন্ধ হিসেবে উল্লেখ করেন ও তাদের কাজে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।