বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষকদের বেতন না দিলে কলেজের অধিভুক্তি বাতিল

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২১ ১৬:২৮

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, প্রত্যেক শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেয়া হবে বলে কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় অঙ্গীকারপত্র জমা থাকে। কিন্তু অনেক কলেজ নিয়মিত বেতন-ভাতা দিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হচ্ছে না, ওই বিষয়ের কোর্সটির অধিভুক্তি বাতিল করা হবে।

শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না যেসব কলেজ, তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানি ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, প্রত্যেক শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেয়া হবে বলে কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় অঙ্গীকারপত্র জমা থাকে। কিন্তু অনেক কলেজ নিয়মিত বেতন-ভাতা দিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হচ্ছে না, ওই বিষয়ের কোর্সটির অধিভুক্তি বাতিল করা হবে।

অনলাইনে ক্লাস ও ভর্তি বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগে থেকেই অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শুধু রসিদ জমা দিতে হয়। সেই প্রক্রিয়াটি আমরা মোবাইলের মাধ্যমে করার চেষ্টা করছি। অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষার বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ক্লাস ছাড়াও বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য কারিকুলাম করার পরিকল্পনা আছে।

অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘করোনার সময়ে শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনার মধ্যে থাকে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ১৩ হাজার ক্লাস আপলোড করেছি। তবে কতেজন শিক্ষা নিয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই।’

শিক্ষকদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু দুর্নীতিবাজ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গে জীবনযাপন করেন। আমি অনেক অধ্যাপককে দেখেছি অবসরের পর একটি ফ্ল্যাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক শিক্ষক রঙিন একটি টিভিও কিনতে পারেন না। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নন, মাধ্যমিক প্রাথমিকের ৯৫ ভাগ শিক্ষক সততার সঙ্গেই জীবন ধারণ করছেন। অথচ আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাই শিক্ষকের দুর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন। যা খুবই দুঃখজনক।’

শিক্ষার্থীদের অটো প্রমোশন দেয়া হয়নি দাবি করে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন এক বর্ষে না থাকেন, সে জন্য উন্নীত করা হয়েছে। তবে বিশ্বিবদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকে ‘ফেস টু ফেস’ শিক্ষাদানে অভ্যস্ত। অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়েও কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখন আমরা যত বেশি অনলাইন শিক্ষায় অভ্যস্ত হতে পারব, ততবেশি এগিয়ে যেতে পারব।

এ বিভাগের আরো খবর