রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাইস্কুল রোডের একটি বাসা থেকে মধ্যবয়সী এক দম্পতি ও তাদের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহেজাবিন মুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন আসামিকে চারদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন।
এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এ তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মেহজাবিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে মেহজাবিনের বাচ্চার হেফাজতের জন্য তার দাদা-দাদির জিম্মায় দিয়েছেন ঢাকার অপর একজন মহানগর হাকিম ।
গত ২০ জুন আসামিকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
১৯ জুন শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় তাদের মেয়ে মেহেজাবিন মুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহতরা হলেন, মাসুদ রানা, তার স্ত্রী জোসনা মৌসুমী এবং তাদের কন্যা সন্তান জান্নাত।
মেহজাবিন পুলিশকে জানান, পারিবারিক কলহের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তার। বিশেষ করে বোন জান্নাতুলের সঙ্গে স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল।
এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। বিষয়টি মা বাবাকে বলার পরও কোনো লাভ হয়নি।
উল্টো মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে।
গত ২০ জুন মেহজাবিন ইসলাম ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের তার চাচা সাখাওয়াত হোসেন।