ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সাময়িক বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির আবারও হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তিনি জামিন আবেদন করলেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এনামুল বাছিরের আইনজীবী জাহেদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন গ্রাউন্ডে জামিন চেয়ে আবেদন করেছি। আজকে মামলাটি শুনানির জন্য তালিকায় ছিল কিন্তু শুনানি হয়নি। আমরা সময় নিয়েছি। আগামীকাল শুনানি হবে।’
এর আগেও দুইবার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম তার জামিন আবেদন নাকচ করেন। এই আদেশের পর ১৬ জুন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন খন্দকার এনামুল বাছির।
এর আগে ২০২০ সালের ১১ মার্চ একই বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন।
২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে সংস্থার একটি টিম মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে।
পরের দিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নাকচ করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে আসামি এনামুল বাছিরকে ডিভিশন দেয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে এর আগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সংস্থাটি।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।