বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় নতুন বিধিনিষেধের পরিকল্পনা নেই

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২১ ১৫:৪৭

ঢাকাকে আশপাশের জেলাগুলো থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। ফলে ঢাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে এসেছে। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আবারও বিধিনিষেধ দেয়া হতে পারে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাকে সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রাজধানীকে ঘিরে রাখা সাত জেলায় চলছে কঠোর লকডাউন। বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন।

এই লকডাউন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকাতে নতুন করে লকডাউন দেয়ার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বুধবার এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার চারপাশে যেসব জেলা থেকে করোনা রোগী আসার আশঙ্কা ছিল, সেই স্থানগুলোতে লকডাউন দেয়া হয়েছে। সেই সব জেলা থেকে যদি ঢাকাতে রোগী আসা আমরা বন্ধ করতে পারি, তাহলে ঢাকায় লকডাউন দেয়ার দরকার হবে না।

‘তবে পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঢাকার চারপাশ থেকে যদি রোগী আসতে থাকে, তাহলে এমন না-ও হয়ে পারে। ঢাকার করোনা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে লকডাউনের প্রয়োজন হবে। বর্তমান সময়ে ঢাকাকে রক্ষা করতে আশপাশে জেলাগুলোতে লকডাউনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে ঢাকামুখী মানুষের চাপ একটু হলেও কমে আসছে।’

বর্তমানে করোনা দ্বিতীয় না তৃতীয় ঢেউ চলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমরা এখনও করোনা দ্বিতীয় ঢেউ শেষ করেতে পারিনি। কিন্তু আমরা যদি সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে রেখে দিতে পারতাম, তাহলে করোনা পরিস্থিতি ভালো থাকতো। এমন পরিস্থিতি যদি দুই থেকে তিন সপ্তাহ রেখে দিতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। কিন্তু আমার সেটা পারিনি। যে কারণে এটাকে দ্বিতীয় ঢেউ অথবার তৃতীয় ঢেউ যা-ই বলেন না কেন, সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে—এটা ভালো খবর নয়।’

সারা দেশে লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনা গঠিত কারিগরি কমিটি এখন সারা দেশ নতুন করে লকডাউনের পরার্মশ দেয়নি। সারা দেশে লকডাউন তখনই দেয়া হবে যখন সারা দেশে সংক্রমণের হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হবে। এটা এখনও হয়নি। এ ছাড়া কোনো স্থানে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সংক্রমণ চলতেই থাকে, তাহলে স্থানীয়ভাবে সেই সব এলাকায় লকডাউন দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর