বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিদেশে চাকরির নামে মানব পাচার করতেন অমি’

  •    
  • ২২ জুন, ২০২১ ২২:৪৯

ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা শত শত লোককে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করেন। এই মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ভিকটিমদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিলেন। এ ছাড়া আরও অনেক নিরীহ সরল লোককে দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গেল ১৪ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তুহিন সিদ্দিকী অমি। এরপর বেরিয়ে আসে অমির মানব পাচারের সংশ্লিষ্টতা। রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় অমি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগে মামলা হয়। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে।

এই মামলায় সিআইডি এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন জসিম উদ্দিন, সালাউদ্দিন, মুসা, রাকিবুল ইসলাম রানা, গোলাপ হোসেন বুলবুল, জাকির হোসেন, নাজমুল, আলম ও শাহজাহান সরকার।

সিআইডি বলছে, তারা সবাই সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র। আর এই চক্রের মূল হোতা হলেন অমি।

মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংস্থাটির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে ভালো চাকরির কথা বলে শত শত মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন তুহিন সিদ্দিকী অমি ও তার সহযোগীরা। এভাবে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।’

ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে অভিযান পরিচালনা করে চক্রের ওই ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, পাচারকারী চক্রের মূল হোতা তুহিন সিদ্দিকী অমির চারটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, ব্যাংক কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা শত শত লোককে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করেন। এই মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ভিকটিমদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিলেন। এ ছাড়া আরও অনেক নিরীহ সরল লোককে দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘চক্রটি ভিকটিমদের যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে তারা কাজ পাচ্ছেন না। ফলে ভিকটিমরা সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’

‘অমি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করে আসছেন। তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।’

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে আসামিদের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর