রাজধানীতে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়েছে জাল টাকা। এরই মধ্যে জাল টাকা বিক্রি ও তৈরি চক্রের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, চক্রটি এক লাখ টাকার জাল টাকার বান্ডিল বিক্রি করতো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।
মঙ্গলবার বিকেলে কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ সব তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে বিপুল পরিমান জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ এই চক্রের এক সদস্য নাইমুল হাসান তৌফিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। তৌফিক রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র।
অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তৈরি হয় এই জাল টাকা। যেখানে একটি পক্ষ এই জাল টাকার কাগজ, রাংতাসহ নিরাপত্তার সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে থাকে। টাকা তৈরির পরে তা বিক্রি করা হয় অনলাইনে। এই চক্রের সাঙ্গে জড়িত আরও দুইজনের সন্ধান পেয়েছেন র্যাব। তাদের আটকে অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, র্যাব-১০ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, রাজধানীতে জাল নোট প্রস্তুতকারী একটি সক্রিয় চক্র জালনোট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপনন করে আসছে।
‘এই চক্রটিকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে র্যাব-১০ একটি গোয়েন্দা দল নিয়োগ করে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মেরুল বাড্ডা হাজ্বী জয়নব উদ্দিন লেন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ লাখ ২৮ হাজার টাকা সমমূল্যের জাল নোট ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ তৌফিককে গ্রেপ্তার করা হয়।’
প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানায়, ‘গ্রেপ্তারকৃত তৌফিক একটি সংঘবদ্ধ জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি প্রায় দুই থেকে তিন বছর ধরে এই জাল নোট চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে জাল নোট তৈরি করে আসছেন। প্রতি এক লাখ টাকা জাল নোট ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল তাদের চক্রটি। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন গরুর হাটসহ অন্যান্য বাজারে সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমান জাল টাকা তৈরি করা হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। ইতিমধ্যে চক্রটির মাধ্যমে শতাধিক চালানে কোটি টাকারও বেশি জাল টাকা ছড়িয়ে পড়েছে বাজারে।’
গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা হয়েছে।