বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নে ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে সরকারি অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সরকারি সহায়তার অর্থ চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের বেতনে ব্যয় করা হবে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাকাউন্টেও এই অর্থ পৌঁছে দেবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘আমরা তিনটা বিষয়কে সামনে রেখে কাজ করি। ডিমান্ড হ্রাস, সাপ্লাই হ্রাস এবং হার্ম হ্রাস। আজকে হার্ম হ্রাস করার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে উৎসাহ দিতে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, যারা মাদক সেবন করে মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছেন তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য তারা যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে সরকারি অনুদান দেয়া হচ্ছে।
‘এটাকে আমরা অনুদান বলব না, তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’
মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বেসরকারি পর্যায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে যারা এগিয়ে আসছেন তাদের ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। গত বছর ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে দেড়কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) রাহুল সেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তালিকা আসার পর সেগুলো যাচাই বাছাই করে কারা সহায়তা পেতে পারে সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। আজকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বাকিদের চেক দেয়া হবে।’
সহায়তা পাওয়া টাকা ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের বেতনবাবদ খরচ করা যাবে। এই অর্থ যাতে অন্যকোনো খাতে না যায় সে ব্যাপারে তদারকি করা হবে বলে জানান রাহুল সেন।