ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর আমবাগিচা এলাকায় ‘প্রেমিকের’ পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ার মামলায় তার প্রেমিকা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
২১ জুন সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুছ তাকে আদালতে হাজির করেন।
আসামি প্রিয়া তানজিলা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রাজি হলে তা রেকর্ড করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্যবিচারিক আদালতের (সিজেএম) হাকিম কাজী আশরাফুজ্জামান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল কুদ্দুছ বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী বিবাহিত রতনের সঙ্গে প্রিয়ার গোপন সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে এক পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধও তৈরি হয়। আর এর জেরে এই ঘটনা ঘটে।
গত ১৯ জুন রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে রতন গোলাম বাজারে অবস্থান করছিলেন। প্রিয়াসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে ঝাউবাড়ী ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়।
প্রিয়ার নির্দেশে তিন জন রতনকে জাপটে ধরেন। পরে চাকু দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়।
রতন তখন তার স্ত্রী মুক্তা বেগমকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। আর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে পাঠান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এ ঘটনায় মুক্তা ২০ জুন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় প্রিয়া ও অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আগানগরের কদমতলী এলাকা থেকে প্রিয়াকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ।