রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাই স্কুল রোডের একটি বাসা থেকে মধ্যবয়সী দম্পতি ও তাদের মেয়ের লাশ উদ্ধার ঘটনায় করা মামলায় ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজাবিন মুনকে চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
শুনানি শেষে রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন (নিরস্ত্র) আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন মাসুদ রানা (৪৫), তার স্ত্রী জোসনা ওরফে মৌসুমী (৪০) ও তাদের মেয়েসন্তান জান্নাত (১৮)।
ওই ঘটনায় মেহজাবিন মুনকে আটকের পর শনিবার রাতে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মেহজাবিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল মেহজাবিনের।
পুলিশ আরও জানায়, বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি তা মেনে নিতে পারেননি। তার সেই সন্দেহ থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল মেহজাবিনের। এ বিষয়টি মা বাবাকে বলার পরও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় তার।
মেহজাবিন ইসলাম ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে রোববার কদমতলী থানায় হত্যা মামলা করেন ওই নারীর চাচা সাখাওয়াত হোসেন।