রাজধানীর কদমতলীতে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে নিহত মাসুদ রানার বড় মেয়ে মেহেজাবিন মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার জানান, হত্যাকাণ্ডের পর শনিবার মুনকে আটক করে পুলিশ। রাতে নিহত মাসুদ রানার ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মামলটি করেন। এরপর ওই মামলায় মুনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
একই পরিবারের নিহত ব্যক্তিরা হলেন ৫০ বছর বয়সী মাসুদ রানা। মাসুদের স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম ও তাদের ছোট মেয়ে ২১ বছর বয়সী জান্নাতুল মহিনী।
শাহ ইফতেখার জানান, শনিবার লাশ উদ্ধারের পর মুন নিজে সবাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে নিহত মাসুদের পরিবারের অভিযোগ মুন তার স্বামীর সঙ্গে যোগসাজশে এই তিনজনকে হত্যা করেছেন।
এ জন্য গতকাল আটক মুনের সঙ্গে তার স্বামী শফিকুলকেও আসামি করা হয়েছে বলে জানান শাহ ইফতেখার।
মামলা হলেও আটক শফিকুল ইসলাম চিকিৎসাধীন।
শাহ ইফতেখার বলের, ‘মুনকে আজ আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।’
শনিবার সকালে পুলিশ কদমতলীর একটি বাসা থেকে ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলো হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। ঘটনায় অভিযুক্ত মেহেজাবিন মুন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে প্রথমে বিষয়টি জানান।
ঘটনায় মুনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও পাঁচ বছরের সন্তান তিপ্তকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।