রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন ৫০ বছর বয়সী মাসুদ রানা। এই সৌদি প্রবাসী ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। অপর দুজন মাসুদের স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম এবং তাদের ছোট মেয়ে ২১ বছর বয়সী জান্নাতুল মহিনী।
হত্যায় জড়িত সন্দেহে মাসুদ রানার বড় মেয়ে মেহেজাবিন মুনকে আটক করেছে পুলিশ।
কদমতলীর উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে জানান, সকালে মেহেজাবিন নিজেই ৯৯৯ এ ফোন করেন। তিনি জানান, তার পরিবারের সদস্যরা গুরুতর অসুস্থ। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে কদমতলী থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত মেহেজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও ৫ বছরের সন্তান তিপ্তকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, শুক্রবার রাতে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তিনজনকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মরদেহগুলো হাত পা বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। মাসুদ রানার বড় মেয়েই (মেহেজাবিন) তাদের হত্যা করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে।’
মহানগর পুলিশের ওয়ারি বিভাগের ডিসি শাহ ইফতেখার জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে মেহজাবীন মুন। মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯ এ ফোন দেন তিনি। মুন থাকেন আলাদা বাসায়। এখানে মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।