ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে পৌনে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মাসুদ-উর-রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার সিনিয়র অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হক এবং ম্যানেজার অপারেশন এমরান আহম্মেদ।
এর আগে বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার সরকার ৫৪ ধারায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের দুজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।
বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন আদালতের বংশাল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক হেলাল উদ্দিন।
এ ছাড়া বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামী ২১ জুন জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, ‘আসামিরা ব্যাংকের ভল্টের টাকার দায়িত্বে ছিলেন। ভল্টের চাবি তাদের কাছেই ছিল।
‘বৃহস্পতিবার ব্যাংকের অডিট টিম অডিট করার সময় ব্যাংকের ভল্টে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার হিসাবে গরমিল ও কম পায়। ব্যাংকের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে অডিট টিম টাকা গরমিলের হিসাব বিবরণী দাখিল করে। আবু বক্কর সিদ্দিক অডিট টিমের হিসাব বিবরণীর ভিত্তিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন।’
আবেদনে বলা হয়, ‘ব্যাংকের ম্যানেজার তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অডিট টিমের সহায়তায় আসামিদের আটক করেন।
‘আসামিদের থানায় হাজির করে আবু বক্কর সিদ্দিক বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করেন। অফিসার ইনচার্জ অভিযোগটি পর্যালোচনা করে দেখতে পান, ঘটনাটি পেনাল কোডের ৪০৯ ধারার অপরাধ। যার তদন্তের ক্ষমতা দুর্নীতি দমন কমিশনের শিডিউলভুক্ত বিধায় দুদক মামলাটি তদন্তের ব্যবস্থা করবে।’
এ অবস্থায় আসামিদের আটক করে আদালতে না পাঠালে তারা চিরতরে পলাতক হতে পারেন। তা ছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগকারীর অভিযোগসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদককে অবহিত করা হয়েছে। দুদক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আগ পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকার।