বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘ম্যাজিক’ দেখিয়েছেন মেয়ররা: মন্ত্রী

  •    
  • ১৭ জুন, ২০২১ ২৩:৫৩

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন যে কাজ করেছে, এর চেয়ে বেশি কাজ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।’

খাল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর হওয়ায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এই উন্নতিকে ‘ম্যাজিক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘এর সুফল নগরবাসী পেতে শুরু করেছে। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন যে কাজ করেছে, এর চেয়ে বেশি কাজ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় সড়ক প্রশস্ত করা কর্মসূচি ঘুরে দেখে তিনি এ কথা বলেন।

গত ১ জুন ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে রাজধানীর বেশির ভাগ রাস্তাঘাট হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। নগর বিশেষজ্ঞরা অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাওয়াকে এ জন্য দায়ী করেন।

বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে মন্ত্রী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণের মধ্য দিয়ে শহরকে বিপর্যস্ত করার অধিকার কারও নেই।

মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীসহ দেশের বড় বড় নগরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠছে। এটা চলতে দেয়া যাবে না। পর্যাপ্ত রাস্তা, খোলা জায়গা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নিজস্ব সেপটিক ট্যাংকসহ অন্যান্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত না করে আর কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে দেয়া হবে না।’

রাস্তা প্রশস্ত করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণির মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে এ কাজ সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে যেকোনো কাজে সফলতা পাওয়া সম্ভব না। জনগণকে সম্পৃক্ত করায় প্রত্যাশিত ফল আসছে।’

যোগাযোগের জন্য, মানুষের চলাফেরার জন্য যদি পর্যাপ্ত রাস্তা না থাকে, তাহলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। মানুষের শান্তি ও উন্নয়নে মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং ধর্মীয় অবকাঠামো অন্যত্র সরিয়ে নেয়া যাবে না-এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ হবে, কোনো সমস্যা নেই। আমি এর বিপক্ষে নই। কিন্তু আগে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। খেলার মাঠ, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য নাগরিক সেবা ও লজিস্টিক সাপোর্ট নিশ্চিত করতে না পারলে সুউচ্চ ভবনের অনুমোদন দেয়া হবে না।’

খালগুলো দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন করে সুন্দর নগরী গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘হাতিরঝিলের চেয়ে আরও বেশি সুন্দর করে খালগুলোকে বিনির্মাণ করা হবে। পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে না বরং কুফল বয়ে আনবে। সুন্দর জীবন-জীবিকার জন্য পারিপার্শ্বিক সবকিছু আমলে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে।’

ভলেন্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং এটি ‘ফাইনাল স্টেজে’ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে সমস্ত মানুষকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে। আর সবাই মিলে কাজ করলে যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব করা সহজ।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

এ বিভাগের আরো খবর