দেশের প্রথম পাতালরেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে আগামী বছরের মার্চে। রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত হবে পাতাল মেট্রোরেল পথটি। দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘পাতালরেল প্রকল্পের সব পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বিস্তারিত ডিজাইনের কাজও ৭২ শতাংশ শেষ হয়েছে। মোট ১২টি প্যাকেজে পুরো কাজটি সম্পন্ন হবে।’
প্রথম প্যাকেজের টেন্ডারের দরপত্র চাওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘রেললাইনে দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে। আর বাকিটা উড়ালপথ।
‘ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশ নির্মাণ করা হবে। যার দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। আর কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত হবে উড়ালপথ। যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।’
এম এ এন ছিদ্দিক জানান, ১২টি প্যাকেজের আওতায় এমআরটি-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম এ পাতালরেলপথের নির্মাণকাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্রপ্রক্রিয়া শেষ হবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপো নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
তিনি জানান, প্রকল্পের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে। প্রতিটি ট্রেনে আটটি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে ৩ হাজার ৮৮ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। পুরো রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা ও তার আশপাশে ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার উড়ালপথে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যা লাইন-৬ নামে পরিচিত।