নতুন ১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে নগরায়ণের বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, শিগগিরই এই কাজ শুরু করা যাবে।
বৃহস্পতিবার নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘আমাদের কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে। যেমন যাত্রাবাড়ী, ডেমরা। এলাকাগুলোর এখনো নগরায়ণ সম্পন্ন হয়নি, উন্নত হয়নি। করপোরেশনের নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ড ইউনিয়নভুক্ত ছিল, সেগুলো এখন করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নগরায়ণের বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। আমরা শিগগিরই সেখানে কাজ শুরু করতে পারব।’
কোরবানির পশুর হাট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যেহেতু করোনা পরিস্থিতি, তাই আমরা মাত্র ১৩টি হাট ইজারা দিয়েছি এবং করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সেগুলো দূরে দূরে দিয়েছি।’
এ সময় গত বছরের মতো এবারও একদিক দিয়ে হাটে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বের হওয়ার আহ্বান জানান মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘হাটগুলোতে যাতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা হয়, সে জন্য আমরা সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব।’
২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এসটিএস উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টেনে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক এসটিএস নির্মাণ করছি, যার মাধ্যমে প্রতিটা ওয়ার্ডের বর্জ্যগুলো সংগৃহীত হবে এবং এখান থেকে বর্জ্যগুলো মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে চলে যাবে। সুতরাং ঢাকা শহরকে সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত স্থানের বর্জ্য থেকে আমরা মুক্ত রাখতে পারব।’
ডিএসসিসির মেয়র পরে নগরীর আজিমপুর ও বঙ্গভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে মুসা খাঁ ও ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, মো. খায়রুল বাকেরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস ডিএসসিসির মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত নয়টি এসটিএস উদ্বোধন করেছেন। তিনি এ বছরের মধ্যেই করপোশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে একটি করে এসটিএস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিলেন এবং সে মোতাবেক কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। দায়িত্বভার গ্রহণের আগে করপোরেশনের মোট ২১টি এসটিএস ছিল।