বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এটিএম কার্ড জালিয়াতি: তিন জালিয়াত রিমান্ডে

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ২১:৫০

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম-এর ইলেকট্রিক জার্নাল পরিবর্তন করে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এ চক্রের মূলহোতা মীর মো. শাহারুজ্জামান রনি কৌশলে বিভিন্ন এটিএমের ইলেকট্রনিক জার্নাল পরিবর্তন করে ৬৩৭টি একাউন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৬৩টি লেনদেন করে এ টাকা আত্মসাৎ করেন।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম-এর ইলেকট্রিক জার্নাল পরিবর্তন করে ২ কোটি ৫৭ লাখ এক হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন জালিয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

এ ছাড়াও এই চক্রের সঙ্গে থাকা এক নারী সদস্য সায়মা আক্তারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করারও আদেশ দেয় আদালত।

বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) হাকিম মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন আল-আমিন বাবু, মেহেদী হাসান মামুন ও আসাদুজ্জামান আসাদ।

এ দিন আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ৭ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন মতিঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই মোতালেব হোসেন।

এর আগে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম-এর ইলেকট্রিক জার্নাল পরিবর্তন করে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ চক্রের মূলহোতা মীর মো. শাহারুজ্জামান রনি কৌশলে বিভিন্ন এটিএমের ইলেকট্রনিক জার্নাল পরিবর্তন করে ৬৩৭টি একাউন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৬৩টি লেনদেন করে এ টাকা আত্মসাৎ করেন।

আসামি আসাদ বিসমিল্লাহ বিডি এন্টারপ্রাইজ নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্টশিপ নেন।

বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের বহুল শ্রমিক সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট করার কথা বলে তাদের বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেন।

ডিবিবিএল এজেন্টের আবেদনকৃত একাউন্ট ও এটিএম কার্ডগুলো তৈরির পর গ্রাহকের কাছে পাঠানোর উদ্দেশ্যে স্ব স্ব এজেন্টের কাছে হস্তান্তর করেন।

কিন্তু আসাদ কার্ডগুলো তাদের অজান্তে অপর আসামি আল আমিন বাবুর কাছে টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করেন।

সংগৃহীত কার্ডগুলোতে ১০-২০ হাজার টাকা করে ক্রেডিট করেন বাবু।

তিনি ওই টাকা এটিএম থেকে ডেবিট করার সময় ডিবিবিএল-এর আইটি অফিসার তথা চক্রের মূলহোতা শাহারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

টাকা তোলার সময় এটিএম বুথ কর্তৃক একাউন্টের বিপরীতে যে জার্নাল সৃষ্টি হয় তা সংরক্ষণ সার্ভারে যাওয়ার আগে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের আইটি অফিসার সেটি পরিবর্তন করে দেন।

ডিবিবিএলের কর্মকর্তা অভিযুক্ত শাহারুজ্জামান টাকা তোলার আগ পর্যন্ত জার্নাল সংরক্ষণ সার্ভারের সঙ্গে ইএসকিউ এটিএম মনিটরিং সফটওয়ারের মাধ্যমে যে এটিএম বুথগুলো পরিচালিত হয়, সেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সফটওয়্যারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এটিএম বুথের টাকা উত্তোলনের সময় যে জার্নাল সৃষ্টি হয়, তা সার্ভারে জমা হয় না। এরই ধারাবাহিকতায় শাহারুজ্জামান ‘সাকসেসফুল’ মেসেজকে ‘আনসাকসেসফুল’ মেসেজে রূপান্তরিত করার ফলে ওই মেসেজ পরবর্তীতে জার্নাল সার্ভারে গেলেও তা আর সাকসেসফুল মেসেজ হিসেবে গণ্য হয় না।

অর্থাৎ, বুথ থেকে টাকা উত্তোলিত হওয়ার পরও মেসেজ আনসাকসেসফুল দেখায়।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, বাবু আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হটলাইনে ফোন করে অভিযোগ করেন যে, তিনি এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের সময় তার ব্যালেন্স কেটে নিয়েছে, কিন্তু টাকা হাতে পাননি। এরপর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দায়িত্বরত অফিসার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেন।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অফিসার যখন দেখেন, টাকা উত্তোলনের জন্য কার্ডটি এটিএম বুথে প্রবেশ করানো হয়েছিল, কিন্তু জার্নালটি ‘আনসাকসেসফুল’ দেখিয়েছে, তখন ওই অফিসার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স সমন্বয় করে দেন।

এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় আসামিদের নামে জাল-জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ মামলা করে।

এ বিভাগের আরো খবর