নিয়মিত আদালত খুলে দেয়ার দাবিতে আইনজীবীদের আন্দোলনের কারণে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভার্চুয়াল জামিন শুনানি ঘণ্টাখানেকের জন্য বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে আইনজীবীরা মানববন্ধন শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।
সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে এ মানববন্ধনে ব্যবহার করা মাইকের শব্দে এ সময় মহানগর দায়রা আদালতের ভার্চুয়াল জামিন শুনানি বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পালসহ সরকারি কয়েকজন আইনজীবী এসে এজলাসের সামনে থেকে মাইক সরিয়ে নিতে বলেন।
এ নিয়ে সাধারণ আইনজীবীদের সঙ্গে তাদের কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয়।
তবে সাধারণ আইনজীবীদের চাপে একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে চলে যান।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল নিউজবাংলাকে বলেন, এজলাসের সামনে মাইক লাগানোয় বিচারক আদালতের শুনানির কথা বুঝতে পারছিলেন না।
পরে মহানগর পিপি আইনজীবীদের অনুরোধ করলে আন্দোলনকারীরা মাইক সরিয়ে নেন।
মাইকের শব্দে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারকাজ বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে মহানগর পিপিসহ তার সঙ্গীরা চলে যাওয়ার পর বেলা ১২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুন, বর্তমান সিনিয়র সহসম্পাদক সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামীপন্থি কয়েকজন আইনজীবী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
তবে চাপের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত সাধারণ আইনজীবীরা আন্দোলন চালিয়ে যান।
মানববন্ধন শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করতে যান আইনজীবীরা।
তবে সংশ্লিষ্ট বিচারকের অফিস থেকে এই স্মারকলিপি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়।
তাই আন্দোলনরত আইনজীবীরা স্মারকলিপির একটি কপি মহানগরা দায়রা জজ আদালতের এজলাসের সামনে দরজায় টাঙিয়ে দেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন ফকির।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক লাইব্রেরি সম্পাদক ইসমাইল ফকির, সাবেক কোষাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান, সাবেক অফিস সেক্রেটারি শহীদ গাজী ও এইচ এম মাসুম, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হেনা কাউছারসহ আরও অনেকে।