বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেমরা-মাতুয়াইলে জলপ্রবাহের জায়গা পুনরুদ্ধার, খনন শুরু

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২১ ২১:০২

অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সব মিলিয়ে জলপ্রবাহের সেই জায়গায় তিন দিনে প্রায় ৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলমুক্তির পর সোমবার বিকেল থেকে সেখানে খননকাজ শুরু হয়েছে।’

রাজধানী ঢাকার ডেমরা ও মাতুয়াইল এলাকার জলপ্রবাহের জায়গা পুনরুদ্ধার করে খননকাজ শুরু করা হয়েছে।

সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় দখলে থাকা ঢাকা মহানগরীর নিম্নাঞ্চলের জলপ্রবাহের জায়গা পুনরুদ্ধার, ৫২নং ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) জন্য নির্ধারিত জায়গা দখলমুক্ত করা এবং এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে করপোরেশনের তিন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান এবং করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো পরিচালনা করেন।

ডিএসসিসির নিম্নাঞ্চল, বিশেষত ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর ডেমরা ও মাতুয়াইল এলাকার জলপ্রবাহের জায়গাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও দীর্ঘ সময় সেসব জায়গা দুর্বৃত্তদের দখলে ছিল।

ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে। এমতাবস্থায় সেই এলাকাগুলোতে দুর্বৃত্তদের দখলে থাকা জলপ্রবাহের জায়গা পুনরুদ্ধারে সোমবার তৃতীয় দিন চূড়ান্ত অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন আদালত সোমবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে জলপ্রবাহের জায়গায় তৈরি করা ব্যবসায়িক স্থাপনা, দোকান, থাকার ঘর, কাঠ ও বাঁশের ব্যবসাসহ নানা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উদ্ধারকৃত জায়গায় সোমবার বিকেল থেকে খননকাজও শুরু করা হয়।

করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আদালত সোমবার নগরীর ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত এসটিএসের জায়গায় অবৈধ দখলে থাকা স্থাপনাসমূহ অপসারণ করছে। দ্বিতীয় দিনের মতো এই অভিযান চালানো হয়। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে।

করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বাগানবাড়ি এলাকায় ‘মদিনা’ নামের একটি কয়েল কারখানায় অভিযান চালায়। অভিযানে মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলা করার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঢাকার নিম্নাঞ্চলে জলপ্রবাহের যে জায়গাগুলো ছিল, দীর্ঘ সময় ধরে সেসব জায়গা নানা কায়দায় দুর্বৃত্তরা দখল করে নেয়। কালের পরিক্রমায় দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাঁশের দোকান, কাঠের দোকান, বসতবাড়ি, অস্থায়ী দোকান ইত্যাদির মাধ্যমে জলপ্রবাহের সেই জায়গাগুলো দখল করেছে।

‘চলাচলের জায়গা সৃষ্টির নামে জলপ্রবাহের অধিকাংশ জায়গায় দখলদাররা কাঠের দোকান দিয়ে এমনভাবে দখল করে নিয়েছে যে, সেখানে পানিপ্রবাহের ন্যূনতম সুযোগটুকুও অবশিষ্ট ছিল না। সেই জায়গায় এর আগে দুই দিন অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আজকের চূড়ান্ত পর্বের অভিযানে সেখানে প্রায় দেড় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে জলপ্রবাহের পুরো জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে জলপ্রবাহের সেই জায়গায় তিন দিনে প্রায় ৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলমুক্তির পর সোমবার বিকেল থেকে সেখানে খননকাজ শুরু হয়েছে।’

অভিযান চলাকালে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর