স্ত্রীর নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রকৌশলী এস এম এ আজিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রাথমিক তদন্তে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়ে রোববার ঢাকা-১-এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম।
মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় আজিমের স্ত্রী নবতারা নুপুরকে। আজিমকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
আজিম বর্তমানে পিডিবি প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (পূর্তকর্ম) পদে আছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রামে পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দুদক জানায়, চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনের সময় প্রায় চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ গড়েন আজিম। নিজেকে আড়ালে রাখতে সেই সম্পদ রেখেছেন স্ত্রীর নামে। নুপুরের স্থাবর সম্পদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের হালিশহর আনন্দবাজার এলাকায়। সেখানে তার ছয়তলা বাড়িসহ স্থাবর-অস্থাবর নানা সম্পদ রয়েছে।
প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে সম্পদের তালিকা জমা দিতে এই প্রকৌশলীকে নোটিশ পাঠায় দুদক। তিনি সম্পদের বিবরণ দেয়ার পর তদন্তে নামে দুদক। এই তদন্তে পাওয়া গেছে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের সন্ধান।
এজাহারে বলা হয়, নবতারা নুপুরের নামে প্রায় চার কোটি টাকার স্থাবর ও পৌনে এক কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে নবতারার এক কোটি ছয় লাখ টাকার গ্রহণযোগ্য আয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। এ সময় তিনি ব্যয় করেছেন ১৬ লাখ টাকা। ব্যয় বাদে তার নিট সঞ্চয় থাকার কথা প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
নবতারার নামে থাকা বাকি ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৭ টাকা মূল্যের সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত। এগুলো তার স্বামী আজিম চাকরির সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে উপার্জন করে স্ত্রীর নামে দিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ধারা ও দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।